পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।

ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘへ



কিঙ্করকে পতি অন্বেষণে প্রেরণ করিয়া, চন্দ্রপ্রভা স্বীয় সহোদরাকে সম্ভাষণ করিয়া কহিতে লাগিলেন, বিলাসিনি! দেখ, প্রায় চারি দণ্ড হইল, কিঙ্করকে তাঁহার অনুসন্ধানে পাঠাইয়াছি; না এ পর্যন্ত তিনিই আসিলেন, না কিঙ্করই ফিরিয়া আসিল; ইহার কারণ কি, কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। বিলাসিনি কহিলেন, আমার বোধ হইতেছে, কোনও স্থানে নিমন্ত্রণ হইয়াছিল, অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া, তথায় আহার করিয়াছেন। অতএব, আর তাঁহার প্রতীক্ষায় থাকিবার প্রয়োজন নাই; চল, আমরা আহার করি। বেলা অতিরিক্ত হইয়াছে, আর বিলম্ব করা উচিত নয়। আর, তোমায় একটি কথা বলি, তাঁহার আসিতে বিলম্ব হইলে, তুমি এত বিষন্ন হও কেন এবং কি জন্যেই বা এত আক্ষেপ কর। পুরুষেরা সকল বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রেচ্ছ, স্ত্রীজাতিকে তাহাদের অনুবর্ত্তিনী হইয়া চলিতে হয়। পুরুষজাতির রোষ বা অসন্তোষ ভয়ে স্ত্রীজাতিকে যত সঙ্কুচিত ও সাবধান হইয়া সংসারধর্ম্ম করিতে হয়; পুরুষজাতিকে যদি সেরূপে চলিতে হইত, তাহা হইলে স্ত্রীজাতির সৌভাগ্যের সীমা থাকিত না। স্ত্রীজাতি নিতান্ত পরাধীন, সুতরাং তাহাদিগকে অনেক সহ্য করিয়া কালহরণ করিতে হয়। তাহাদের অভিমান করা বৃথা।