পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
ভ্রান্তিবিলাস।

কিন্তু আমি তাহার সহিত কথোপকথন করিয়াছি, এবং অবশেষে প্রহার পর্য্যন্ত করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছি। অধ্যক্ষ বলিতেছেন, সে এইমাত্র পান্থনিবাস হইতে নির্গত হইয়াছে; এ কিরূপ হইল, কিছুই বুঝিতে পারিতেছি ন। মনোমধ্যে এই আন্দোলন করিতেছেন, এমন সময়ে হেমকুটের কিঙ্কর তাঁহার সন্নিহিত হইল।

 তাহাকে দেখিতে পাইবামাত্র, চিরঞ্জীব জিজ্ঞাসা করিলেন, কেমন কিঙ্কর! তোমার পরিহাসপ্রবৃত্তি নিবৃত্তি পাইয়াছে, অথবা সেইরূপই রহিয়াছে। তুমি মার খাইতে বড় ভাল বাস, অতএব আমার ইচ্ছা, তুমি আর খানিক আমার সঙ্গে পরিহাস কর। কেমন, আজ আমি তোমার হস্তে স্বর্ণমুদ্রা দি নাই, তোমার কর্ত্রী ঠাকুরাণী আমায় লইয়া যাইবার জন্য পাঠাইয়াছেন, জয়স্থলে আমার বাস। তোমার বুদ্ধিভ্রংশ ঘটিয়াছে; নতুবা, পাগলের মত আমার জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে না। কিঙ্কর শুনিয়া চকিত হইয়া কহিল, সে কি মহাশয়! আমি কখন আপনকার নিকট ও সকল কথা বলিলাম। চিরঞ্জীব কহিলেন, কিছু পূর্ব্বে, বোধ হয় এখনও আধ ঘণ্টা হয় নাই। কিঙ্কর বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া কহিল, আপনি স্বর্ণমুদ্রার থলী আমার হস্তে দিয়া এখানে পাঠাইলে পর, কই আপনকার সঙ্গে ত আর আমার দেখা হয় নাই। চিরঞ্জীব অত্যন্ত কুপিত হইয়া কহিলেন,দুরাত্মন‌! আর আমার সঙ্গে দেখা হয় নাই, বটে; তুমি বারংবার বলিতে লাগিলে, আপনি আমার হস্তে স্বর্ণমুদ্রা দেন নাই, কর্ত্রী ঠাকুরাণী আপনাকে লইয়া যাইতে পাঠাইয়াছেন, তিনি ও