পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
৩১

তাহার ভগিনী আপনকার অপেক্ষায় আহার করিতে পারিতেছেন না। পরিশেষে, সাতিশয় রোষাক্রান্ত হইয়া আমি তোমায় প্রহার করিলাম।

 এই সমস্ত কথা শুনিয়া, হতবুদ্ধি হইয়া, কিঙ্কর কিয়ং ক্ষণ স্তব্ধ হইয়া রহিল; অবশেষে, চিরঞ্জীব কৌতুক করিতেছেন বিবেচনা করিয়া কহিল, মহাশয়! এত দিনের পর, আপনকার যে পরিহাসে প্রবৃত্তি হইয়াছে, ইহাতে আমি অত্যন্ত আহ্লাদিত হইলাম; কিন্তু, এ সময়ে এরূপ পরিহাস করিতেছেন কেন, তাহার মর্ম্ম বুঝিতে পারিতেছি না; অনুগ্রহ করিয়া তাহার কারণ বলিলে, আমার সন্দেহ দূর হয়। চিরঞ্জীব কহিলেন, আমি পরিহাস করিতেছি, না তুমি পরিহাস করিতেছ; আজ তোমার দুর্ম্মতি ঘটিয়াছে; তখন যৎপরোনাস্তি বিরক্ত করিয়াছ, এখন আবার বলিতেছ, আমি পরিহাস করিতেছি। এই তোমার দুর্ম্মতির ফল ভোগ কর। এই বলিয়া, তিনি তাহাকে ক্রোধভরে বিলক্ষণ প্রহার করিলেন।

 এইরূপে প্রহার প্রাপ্ত হইয়া, কিঙ্কর কহিল, আমি কি অপরাধ করিয়াছি যে আপনি আমায় এত প্রহার করিলেন। চিরঞ্জীব কহিলেন, তোমার কোনও অপরাধ নাই; সকল অপরাধ আমার। ভূত্যের সহিত প্রভুর যেরূপ ব্যবহার করা উচিত, তাহা না করিয়া, আমি যে তোমার সঙ্গে সৌহৃদ্যভাবে কথা কই, এবং সময়ে সময়ে তোমার পরিহাস শুনিতে ভাল বাসি, তাহাতেই তোমার এত আস্পর্দ্ধা বাড়িয়াছে। তোমার সময়