পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
৪১

যাইব, এই আশায় আমি তোমার বিপণিতে বসিয়াছিলাম; কিন্তু এ বেলা প্রস্তুত হইয়া উঠিল না; সায়ংকালে নিঃসন্দেহ প্রস্তুত হইবেক এবং কল্য প্রাতে তুমি তাঁহার নিকটে লইয়া যাইবে। তাঁহাকে এই কথা বলিয়া, সন্নিহিত রত্নদত্ত শ্রেষ্ঠীকে কহিলেন, আপনিও চলুন, আজ সকলে এক সঙ্গে আহার করিব; অনেক দিন আপনি আমার বাটীতে আহার করেন নাই। রত্নদত্ত ও বসুপ্রিয় সম্মত হইলেন; চিরঞ্জীব, উভয়কে সমভিব্যাহারে লইয়া, স্বীয় ভবনের অভিমুখে প্রস্থান করিলেন।

 কিয়ৎ ক্ষণ পরে, বাটীর সন্নিকৃষ্ট হইয়া, চিরঞ্জীব দেখিলেন, দ্বার রুদ্ধ রহিয়াছে; তখন কিঙ্করকে কহিলেন, তুমি অগ্রসর হইয়া, আমাদের পঁহুছিবার পূর্ব্বে, দ্বার খুলাইয়া রাখ। কিঙ্কর, সত্বর গমনে দ্বারদেশে উপস্থিত হইয়া, অপরাপর ভূত্যদিগের নাম গ্রহণ পূর্ব্বক দ্বার খুলিয়া দিতে বলিল। চন্দ্রপ্রভার আদেশ অনুসারে হেমকূটবালী কিঙ্কর ঐ সময়ে দ্বারবানের কার্য্য সম্পাদন করিতেছিল, সে কহিল, তুমি কে, কি জন্যে দ্বার খুলিতে বলিতেছ; গৃহস্বামিনী যেরূপ অনুমতি দিয়াছেন, তাহাতে আমি কদাচ দ্বার খুলিব না এবং কাহাকেও বাটীতে প্রবেশ করিতে দিব না। অতএব তুমি এখান হইতে চলিয়া যাও, আর ইচ্ছা হয়, রাস্তায় বসিয়া রোদন কর। এইরূপ উদ্ধত ও অবজ্ঞাপূর্ণ বাক্য শুনিয়া, জয়স্থলবাসী কিঙ্কর কহিল, তুই কে, কোথাকার লোক, তোর কেমন আচরণ; প্রভু পথে দাঁড়াইয়। রহিলেন, তুই দ্বার খুলিয়া দিবি না। হেমকূটবাসী কিঙ্কর