পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
৪৯

আর কোনও অভিসন্ধি নাই। যদি দুটা মিষ্ট কথা বলিলে তাঁহার অভিমান দূর হয় ও খেদ নিবারণ হয়, তাহাতে তোমার আপত্তি কি।

 বিলাসিনীর বচনবিন্যাস শ্রবণ করিয়া, হেমকূটবাসী চিরঞ্জীব কহিলেন, অয়ি চারুশীলে! আমি দেখিয়া শুনিয়া এককালে হতজ্ঞান হইয়াছি; আমার বুদ্ধিকস্ফূর্তি বা বাঙনিষ্পত্তি হইতেছে না। তোমার কথার কি উত্তর দিব, ভাবিয়া স্থির করিতে পারিতেছি না। তুমি, যে পথে প্রবৃত্ত করিবার নিমিত্ত, এত ক্ষণ আমায় উপদেশ দিলে, আমি সে পথের পথিক নই; প্রাণান্তেও তাহাতে প্রবৃত্ত হইতে পারিব না। তোমরা দেবী কি মানবী, আমি এ পর্য্যন্ত তাহ স্থির করিতে পারি নাই। যদি দেবযোনিসম্ভবা হও, আমায় স্বতন্ত্র বুদ্ধি ও স্বতন্ত্র প্রবৃত্তি দাও; তাহা হইলে, তোমাদের অভিপ্রায়ের অনুবর্ত্তী হইয়া চলিতে পারি; নতুবা, এখন আমার যেরূপ বুদ্ধি ও যেরূপ প্রবৃত্তি আছে, তদনুসারে আমি কোনও ক্রমে পরকীয় মহিলার সংস্রবে যাইতে পারিব না। স্পষ্ট কথায় বলিতেছি, তোমার ভগিনী আমার পত্নী নহেন, আমি কখনও উঁহার পাণিগ্রহণ করি নাই। তিনি অধীর হইয়া অশ্রু বিসর্জন করিতেছেন, সত্য বটে; কিন্তু তাঁহার খেদাপনয়নের নিমিত্তে তুমি এত ক্ষণ আমায় যে উপদেশ দিলে, আমি প্রাণান্তেও তদনুযায়ী কার্য্য করিতে পারিব না। আমি বিনয় করিয়া বলিতেছি, তুমি আর আমায় ওরূপ উপদেশ দিও না। যেরূপ শুনিতেছি, তাহাতে তিনি বিবা