চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
বসুপ্রিয় স্বর্ণকার, এক বিদেশীয় বণিকের নিকট, পাঁচ শত টাকা ধার লইয়াছিলেন। যে সময়ে পরিশোধ করিবার অঙ্গীকার ছিল, তাহা অতীত হইয়া যায়, তথাপি বণিক বসুপ্রিয়কে উৎপীড়ন করেন নাই। পরে, দূর দেশান্তরে যাইবার প্রয়োজন হওয়াতে, তিনি টাকার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে আরম্ভ করেন। অবশেষে, অনায়াসে টাকা পাওয়া দুর্ঘট বিবেচনা করিয়া, এক জন রাজপুরুষ সঙ্গে লইয়া, তিনি বসুপ্রিয়ের আলয়ে উপস্থিত হইলেন; এবং তাঁহাকে কহিলেন, আজ আমি এখান হইতে প্রস্থান করিব, সমুদায় আয়োজন হইয়াছে, জাহাজে আরোহণ করিলেই হয়; যে জাহাজে যাইব, উহা সন্ধ্যার প্রাক্কালে জয়স্থল হইতে চলিয়া যাইবে। আমি যে প্রয়োজনে যাইতেছি, তাহাতে সঙ্গে কিছু অধিক টাকা থাকা আবশ্যক। অতএব, আমার প্রাপ্য টাকা গুলি এখনই দিতে হইবেক; না দেন, আপনাকে এই রাজপুরুষের হস্তে সমর্পণ করিব। বসুপ্রিয় কহিলেন, টাকা দিতে আমার, এক মুহুর্ত্তের জন্যেও, অনিচ্ছা বা আপত্তি নাই। আপনি আমার নিকট যে টাকা পাইবেন, চিরঞ্জীব বাবুর নিকট আমার তদপেক্ষা অধিক টাকা পাওয়া আছে। তাঁহাকে এক ছড়া হার গড়িয়া দিয়াছি, তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ হইলেই ঐ হারের মূল্য পাইব। অতএব, আপনি অনুগ্রহ করিয়া,