পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
ভ্রান্তিবিলাস।

হারের হিসাবে আমার টাকা ধারেন, সেই সম্পর্কে উনি এরূপ আলাপ করিতেছেন। সে যাহা হউক, টাকা এই দণ্ডে দিবেন কি না, বলুন। চিরঞ্জীব কহিলেন, আমি যত ক্ষণ হার ন। পাইতেছি, তোমায় এক কপর্দ্দকও দিব না। বসুপ্রিয় কহিলেন, কেন, আমি আধ ঘণ্টা পূর্ব্বে আপনকার হস্তে হার দিয়াছি। চিরঞ্জীব কহিলেন, তুমি কখনই আমায় হার দাও নাই। এরূপ মিথ্যা অভিযোগ করা বড় অন্যায়। উহাতে আমার যথেষ্ট অনিষ্ট করা হইতেছে। বসুপ্রিয় কহিলেন, হার পাওয়া অপলাপ করিয়া, আপনি আমার অধিকতর অনিষ্ট করিতেছেন; চির কালের জন্য আমার সন্ত্রম যাইতেছে।

 সত্বর টাকা পাইবার কোনও সম্ভাবনা নাই, দেখিয়া, বণিক রাজপুরুষকে কহিলেন, আপনি ইহাকে অবরুদ্ধ করুন। রাজপুরুষ বসুপ্রিয়কে অবরুদ্ধ করিলে, তিনি চিরঞ্জীবকে কহিলেন, দেখুন, আপনকার দোষে চির কালের জন্যে আমার মান সন্ত্রম যাইতেছে; আপনি টাকা দিয়া আমায় মুক্ত করুন; নতুবা আমিও আপনাকে এই দণ্ডে অবরুদ্ধ করাইব। শুনিয়া, সাতিশয় কুপিত হইয়া, চিরঞ্জীব কহিলেন, অরে নির্ব্বোধ! আমি হার না পাইয়া টাকা দিব, কেন। তোমার সাহস হয়, আমায় অবরুদ্ধ করাও। তখন বসুপ্রিয় রাজপুরুষের হস্তে অবরোধনের খরচা দিয়া কহিলেন, দেখুন, ইনি আমার নিকট হইতে এক ছড়া বহুমূল্য হার লইয়া মূল্য দিতেছেন না, অতএব, আপনি ইঁহাকে অবরুদ্ধ করুন। সহোদরও যদি আমার