পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৭১

পরিহাসপ্রিয়, আপনকার ভূতাটি আবার তদপেক্ষা অধিক। সে যাহা হউক, এক্ষণে আমার বাটীতে যাইবেন কি না বলুন, আমি আহারের সমুদয় আয়োজন করিয়াছি। এই কথা শুনিয়া, কিঙ্কর কহিল, মহাশয়! আমি পুনরায় সাবধান করিতেছি, আপনি কদাচ এই পিশাচীর মায়ায় ভুলিবেন না। তখন চিরঞ্জীব ক্রোধে অন্ধ হইয়া কহিলেন, অরে পাপীয়সি! তুমি এই দণ্ডে এখান হইতে চলিয়া যাও। তোমার সঙ্গে আমার কিসের সম্পর্ক যে তুমি আমায় আহার করিতে ডাকিতেছ। যেরূপ দেখিতেছি, তাহাতে এখানকার স্ত্রীলোক মাত্রেই ডাকিনী। স্পষ্ট

 কথায় বলিতেছি, যদি ভাল চাও, অবিলম্বে আমার সম্মুখ হইতে চলিয়া যাও। জয়স্থলবাসী চিরঞ্জীবের সহিত এই স্ত্রীলোকের বিলক্ষণ সৌহৃদ্য ছিল, তিনি যে তাঁহার প্রতি এবংবিধ অযুক্ত আচরণ করিবেন, ইহা স্বপ্নের অগোচর। চিরঞ্জীববাবুর নিকট এরূপে অপমানিত হইলাম, এই ভাবিয়া, তিনি সাতিশয় রোষ ও অসন্তোষ প্রদর্শন পূর্ব্বক কহিলেন, এত কাল আপনাকে ভদ্র বলিয়া বোধ ছিল; কিন্তু আপনি যেমন ভদ্র, আজ তাহার সম্পূর্ণ পরিচয় পাইলাম। সে যাহা হউক, মধ্যাহ্নে, আহারের সময়, আমার অঙ্গুলি হইতে যে অঙ্গুরীয় খুলিয়া লইয়াছেন, হয় তাহা ফিরিয়া দেন, নয় উহার বিনিময়ে যে হার দিবার অঙ্গীকার করিয়াছেন, তাহা দেন; দুয়ের এক পাইলেই আমি চলিয়া যাই; তৎপরে আর এ জন্মে আপনকার সহিত আলাপ করিব