পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
ভ্রান্তিবিলাস।

না, এবং প্রাণান্ত ও সর্ব্বস্বান্ত হইলেও কোনও সংস্রব রাখিব না। এই সকল কথা শুনিয়া কিঙ্কর কহিল, অন্য অন্য ডাইন, ছাড়িবার সময়, বাটা, কুলে, শিল, নোড়া বা ছেড়া জুতা পাইলেই সন্তুষ্ট হইয়া যায়, এ দিব্যাঙ্গনা ডাইনটির অধিক লোভ দেখিতেছি; ইনি হয় হার, নয় আঙ্গটি, দুয়ের একটি না পাইলে যাইবেন না। মহাশয়। সাবধান, কিছুই দিবেন না, দিলেই অনর্থপাত হইবেক। অপরাজিতা, কিঙ্করের কথার উত্তর না দিয়া, চিরঞ্জীবকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, মহাশয়! হয় হার, নয় আঙ্গটি দেন। বোধ করি, আমায় ঠকান আপনকার অভিপ্রেত নহে। চিরঞ্জীব উত্তরোত্তর অধিকতর কোপাবিষ্ট হইয়া কহিলেন, অরে ডাকিনি! দূর হও। এই বলিয়া, কিঙ্করকে সঙ্গে লইয়া, তিনি চলিয়া গেলেন।

 এইরূপে তিরস্কৃত ও অপমানিত হইয়া, অপরাজিতা কিয়ৎ ক্ষণ স্তব্ধ হইয়া রহিলেন; অনন্তর মনে মনে কহিতে লাগিলেন, চিরঞ্জীববাবু নিঃসন্দেহ উন্মাদগ্রস্ত হইয়াছেন, নতুবা উঁহার আচরণ এরূপ বিসদৃশ হইবেক, কেন। চিরকাল আমরা উহাকে সুশীল, সুবোধ, দয়ালু ও অমায়িক লোক বলিয়া জানি; কেহ কখনও কোনও কারণে উহারে ক্রোধের বশীভূত হইতে দেখি নাই; আজ তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত দেখিতেছি। উন্মাদ ব্যতিরেকে এরূপ লোকের এরূপ ভাবান্তর কোনও ক্রমে সম্ভবে না ইনি, বিনিময়ে হার দিবার অঙ্গীকার করিয়া, অঙ্গুরীয় লইয়াছেন; এখন, আমায় কিছুই দিতে চাহিতেছেন না। ইনি,