পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
ভ্রান্তিবিলাস।

কহিল, আজ্ঞা, হাঁ, বাটীর দ্বার রুদ্ধ করা ছিল, এবং আপনাকে প্রবেশ করিতে দেয় নাই। চিরঞ্জীব জিজ্ঞাসিলেন, আচ্ছা, উনি নিজে অভ্যন্তর হইতে আমাকে গালাগালি দিয়াছেন কি না। সে কহিল, আজ্ঞা, হাঁ, উনি অত্যন্ত কটুবাক্য বলিয়াছিলেন। চিরঞ্জীব জিজ্ঞাসিলেন, তৎপরে আমি, অবমানিত বোধ করিয়া, ক্রোধভরে সেখান হইতে চলিয়া যাই কি না। সে কহিল, আজ্ঞা, হাঁ, তার পর আপনি ক্রোধভরে সেখান হইতে চলিয়া যান।

 এই প্রশ্নোত্তরপরম্পরা শ্রবণ করিয়া, চন্দ্রপ্রভা আক্ষেপবচনে কিঙ্করকে কহিলেন, তুমি বিলক্ষণ প্রভুভক্ত; প্রভুর যথার্থ হিতচেষ্টা করিতেছ। যাহাতে উহার মনের শান্তি হয়, সে চেষ্টা না করিয়া, কেবল রাগবৃদ্ধি করিয়া দিতেছ। বিদ্যাধর কহিল, আপনি উহারে অন্যায় তিরস্কার করিতেছেন; ও অবিবেচনার কর্ম্ম করিতেছে না। ও ব্যক্তি উহার রীতি ও প্রকৃতি বিলক্ষণ জানে। এরূপ অবস্থায় চিত্তের অনুবর্ত্তন করিলে, যেরূপ উপকার দর্শে, অন্য কোনও উপায়ে সেরূপ হয় না। চিরঞ্জীব চন্দ্রপ্রভার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, তুই স্বর্ণকারের সহিত যোগ দিয়া আমায় কয়েদ করাইয়াছিস; নতুবা স্বর্ণমুদ্রা পাঠাইলি না কেন। শুনিয়া, বিস্ময়াপন্ন হইয়া, চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, সে কি নাথ! এমন কথা বলিও না; কিঙ্কর আসিয়া, অবরোধের উল্লেখ করিবামাত্র, আমি উহা দ্বারা স্বর্ণমুদ্রা পাঠাইয়া দিয়াছি। কিঙ্কর চকিত হইয়া কহিল, আমা দ্বারা পাঠাইয়া-