পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৮১

ছেন? আপনকার যাহা ইচ্ছা হইতেছে, তাহাই বলিতেছেন। এই বলিয়া সে চিরঞ্জীবকে কহিল, না মহাশয়! আমার হস্তে এক পয়সাও দেন নাই; আপনি উহার কথায় বিশ্বাস করিবেন না। তখন চিরঞ্জীব জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি স্বর্ণমুদ্রা আনিবার জন্য উঁহার নিকটে যাও নাই? চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, ও আমার নিকটে গিয়াছিল, বিলাসিনী তদণ্ডে উহার হস্তে স্বর্ণমুদ্রার থলী দিয়াছে। বিলাসিনীও কহিলেন, আমি স্বয়ং উহার হস্তে স্বর্ণমুদ্রার থলী দিয়াছি। তখন কিঙ্কর কহিল, পরমেশ্বর জানেন ও যে দড়ী বিক্রয় করে, সে জানে, আপনি দড়ী কেনা বই আজ আমায় আর কোনও কর্ম্মে পাঠান নাই।

 এই সমস্ত কথোপকথন শ্রবণ করিয়া, বিদ্যাধর চন্দ্রপ্রভাকে কহিল, দেখুন, প্রভু ও ভৃত্য উভয়েই ভূতাবিষ্ট হইয়াছেন, আমি উভয়ের চেহারা দেখিয়া স্পষ্ট বুঝিতে পারিতেছি। বন্ধন করিয়া অন্ধকারগৃহে রুদ্ধ করিয়া না রাখিলে, প্রতিকার হইবেক না। চন্দ্রপ্রভা সম্মতি প্রদান করিলেন। শুনিয়া কোপে কম্পমান হইয়া, চিরঞ্জীব কহিলেন, অরে মায়াবিনি! অরে দুশ্চারিণি! তুই এত দিন আমায় এমন মুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলি, যে তোরে নিতান্ত পতিপ্রাণা কামিনী স্থির করিয়া রাখিয়াছিলাম; এখন দেখিতেছি, তুই ভয়ঙ্কর কালভুজঙ্গী; অসৎ অভিপ্রায় সাধনের নিমিত্ত, এই সকল দুরাচারদিগের সহিত মন্ত্রণা করিয়া, আমার প্রাণবধের চেষ্টা দেখিতেছিস, এবং উন্মাদ প্রচার করিয়া, বন্ধন পূর্ব্বক অন্ধকারময় গৃহে রাখিবি, এই