পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৮০

আমি ধর্ম্মপ্রমাণ অঙ্গীকার করিতেছি, উঁহার ঋণ পরিশোধ না করিয়া, তোমার নিকট হইতে যাইব না। তুমি আমায় উঁহার উত্তমর্ণের নিকটে লইয়া চল। .কি জন্যে ঋণ হইল, তাহার মুখে শুনিয়া, টাকা দিব। তদনন্তর, তিনি বিদ্যাধরকে কহিলেন, তুমি উহারে সাবধানে বাটীতে লইয়া যাও, আমি এই রাজপুরুষের সঙ্গে চলিলাম। বিলাসিনি! তুমি আমার সঙ্গে এস। বিদ্যাধর! তোমরা বিলম্ব করিও না, চলিয়া যাও; সাবধান, যেন কোনও রূপে বন্ধন খুলিয়া পলাইতে না পারেন। অনন্তর, বিদ্যাধর দৃঢ়বদ্ধ চিরঞ্জীব ও কিঙ্করকে লইয়া প্রস্থান করিল।

 বিদ্যাধর প্রভৃতি দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইলে, চড়া রাজপুরুষকে জিজ্ঞাসা করিলেন, উনি কোন ব্যক্তির অভিযোগে অবরুদ্ধ হইয়াছেন, বল। তিনি কহিলেন, বসুপ্রিয় স্বর্ণকারের; আপনি কি তাহাকে জানেন। চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, হাঁ, আমি তাহাকে জানি; তিনি কি জন্যে কত টাকা পাইবেন, জান। রাজপুরুষ কহিলেন, স্বর্ণকার এক ছড়া হার গড়িয়া দিয়াছেন, তাহার মূল্য পান নাই। চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, আমার জন্যে হার গড়িতে দিয়াছেন, শুনিয়াছিলাম; কিন্তু এ পর্য্য়ন্ত হার দেখি নাই। অপরাজিতা কহিলেন, আজ আমার বাটীতে আহার করিতে গিয়া, উনি আমার অঙ্গুলি হইতে অঙ্গুরীয় লইয়া পলায়ন করিলে পর, কিঞ্চিৎ কাল বিলম্বে পথে আমার সঙ্গে দেখা হইয়াছিল; তখন উহার গলায় এক ছড়া নূতনগড়া