পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
ভ্রান্তিবিলাস।

হার দেখিয়াছি। চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, যাহা বলিতেছ, অসম্ভব নয়, কিন্তু আমি কখনও সে হার দেখি নাই। যাহা হউক, অহে রাজপুরুষ! সত্বর আমায় স্বর্ণকারের নিকটে লইয়া চল; তাহার নিকট সবিশেষ না শুনিলে, প্রকৃত কথা জানিতে পারিতেছি না।

 হেমকূটবাসী চিরঞ্জীব, ভর্ৎসনা ও ভয় প্রদর্শন দ্বারা অপরাজিতাকে দূর করিয়া দিয়া, কিঙ্কর সমভিব্যাহারে যে রাজপথে গমন করিতেছিলেন, চন্দ্রপ্রভা প্রভৃতিও সেই পথ দিয়া যাইতেছিলেন। বিলাসিনী, দূর হইতে দেখিতে পাইয়া, অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়া, চন্দ্রপ্রভাকে কহিলেন, দিদি! কি সর্বনাশ! কি সর্বনাশ! ঐ দেখ, তিনি ও কিঙ্কর উভয়েই বন্ধন খুলিয়া পলাইয়া আসিয়াছেন। এখন কি উপায় হয়। চন্দ্রপ্রভা দেখিয়া, যৎপরোনাস্তি ব্যাকুল হইয়া, রাজপথবাহী লোকদিগকে ও সমভিব্যাহারী রাজপুরুষকে কহিতে লাগিলেন, যেরূপে পার, তোমরা উঁহারে বন্ধন করিয়া আমার নিকটে দাও। এই উপলক্ষে বিলক্ষণ গোলযোগ উপস্থিত হইল। চিরঞ্জীব দেখিলেন, যে মায়াবিনী মধ্যাহ্নকালে ধরিয়া বাটীতে লইয়া গিয়াছিল, সে এক্ষণে এক রাজপুরুষ সঙ্গে করিয়া আসিতেছে। ইহাতেই তিনি ও তাঁহার সহচর কিঙ্কর বিলক্ষণ ভয় পাইয়াছিলেন; পরে, তাঁহারা, বন্ধন করিয়া লইয়া যাইবার পরামর্শ করিতেছেন জানিতে পারিয়া, তরবারি নিষ্কাশন পূর্ব্বক, প্রহার অভিপ্রায়ে তাহাদের দিকে ধাবমান হইলেন। তদ্দর্শনে সাতিশয় শঙ্কিত