পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
রাজপুরুষ, জয়স্থলবাসী চিরঞ্জীবকে লইয়া, তদীয় আলয় অভিমুখে প্রয়াণ করিলে পর, উত্তমর্ণ বণিক অধমর্ণ স্বর্ণকারকে বলিলেন, তোমায় টাকা দিয়া পাইতে এত কষ্ট হইবেক, তাহা আমি এক বারও মনে করি নাই। হয় ত, এই টাকার গোলে আজ আমার যাওয়া হইল না; যাওয়া না হইলে, বিলক্ষণ ক্ষতিগ্রস্ত হইব। এখন বোধ হইতেছে, সে সময়ে তোমার উপকার করিয়া ভাল করি নাই। স্বর্ণকার সাতিশয় কুণ্ঠিত হইয়া, কহিলেন, মহাশয়! আর আমার লজ্জা দিবেন না, আমি আপনকার আবশ্যক সময়ে টাকা দিতে না পারিয়া মরিয়া রহিয়াছি। চিরঞ্জীববাবু যে আমার সঙ্গে এরূপ ব্যবহার করিবেন, ইহা স্বপ্নের অগোচর। উনি যে হার লইয়া পাই নাই বলিবেন, অথবা টাকা দিতে আপত্তি করিবেন, এক মুহূর্ত্তের জন্যেও মনে হয় নাই। আপনি এ সন্দেহ করিবেন না যে আমি উহাকে হার দি নাই, কেবল আপনকার সঙ্গে ছল করিতেছি। আমি ধর্ম্মপ্রমাণ বলিতেছি, চারি দণ্ড পূর্ব্বে আমি নিজে উহার হস্তে হার দিয়াছি। উনি সে সময়ে মূল্য দিতে চাহিয়াছিলেন; আমার কুবুদ্ধি, আমি বলিলাম, এখন কার্য্যান্তরে যাইতেছি, পরে সাক্ষাৎ করিব ও মূল্য লইব। উনি কিন্তু সে সময়ে বলিয়াছিলেন, এখন না লও, পরে আর পাইবার সম্ভবনা থাকিবে না। তৎকালে