পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਤਣ vese sesa বাঙ্গালায় কনৌজ ব্ৰাহ্মণ পঞ্চকের আগমন কাল । জনশ্রুতি মূলক গৌড়সম্রাট আদিশূর। ঐতিহাসিক ব্যক্তি কি না, এই বিষয় লইয়া বৰ্ত্তমান ঐতিহাসিকগণ বিশেষ আলোচনা কবিতেছেন। গৌড়রাজমালায় স্পষ্টই লিখিত্ত হইয়াছে ষে— “কুলপঞ্জিকা বা ঐ শ্রেণীর গ্ৰন্থ ভিন্ন আর কোথাও আদিশূরের রিচয় পাওয়া যায় না। এখন যে সকল কুলপঞ্জিকা দেখা যায়, তাহা আদিশূরের আনুমানিক আবির্ভােব কালের অনেক পরে রচিত। পরবর্তী কালের রচনা হইতে ইতিহাসের উপাদান সংগ্ৰহ করিতে হইলে বিশেষ সাবধানতা আবশ্যক। যে পরবর্তী কালের গ্রন্থে তুল্যকালীন গ্রন্থোক্ত প্ৰেমাণ উদ্ধত থাকে, তাহাই কেবল ইতিহাসের ভাণ্ডার রূপে গৃহীত হইতে পারে। কুলগ্রন্থ নিচয়ে উল্লিখিত আদিশূর রাজার বিবরণ যে সেরূপ প্রমাণ অবলম্বনে সঙ্কলিত, তাহ। এ যাবৎ কেহই প্রতিপাদন করিতে পারেন নাই। কারণ, আদিশূরের সময়ের কোন চিহ্নই এখনও পাওয়া যায় নাই।” প্ৰাচ্যবিদ্যামহার্ণব, নগেন্দ্ৰবাবু আদিশূরের ঐতিহাসিক প্রমাণ না। পাইয়া কহলণোক্ত ৮ম শতাব্দীর গৌড়াধিপ জয়ন্তকে আদিশূব বলিয়া প্রমাণ করিতে অনৰ্থক চেষ্টা করিয়াছেন। ৭৫৩ হইতে ৭৫৫ খৃ অব্দে ব মধ্যে জয়ন্ত ওরফে আদিশূর কর্তৃক গৌড়ে ব্ৰাহ্মণ-পঞ্চকের আনয়ন সিদ্ধান্ত করিয়া বঙ্গের জাতীয় ইতিহাসে ১০২ পৃষ্ঠায় তিনি আলোচনা