পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S R8 ফ্লাস্তি-বিজয়। ব্ৰাহ্মণের ইতিবৃত্ত লিখিয়াছেন। প্রশস্তিকার ২য় ভবদেবের পিতা গোবৰ্দ্ধন রাঢ়ীয়শ্রেণী ব্ৰাহ্মণের কন্যা সাঙ্গোকারকে পত্নীরূপে গ্ৰহণ করিয়া ছিলেন এই মাত্র লিখিয়াছেন। তাহাদ্বারা রাঢ়ীয় বংশীয় একমাত্র কন্যা সাঙ্গোকারের জন্য ভবদেবের পিতৃবংশ রাঢ়ীয় শ্রেণী হইয়া যাইবেন ইহা সম্ভব নহে। অন্যদিকে পূর্ববঙ্গে এখনও গোড়ীয় বৈদিক ব্ৰাহ্মণগণের কন্যাগণকে রাঢ়ীয় ঠাকুরগণ। পত্নীরূপে গ্ৰহণ করিতেছেন। তাহাতে কি সেই পঞ্জীর গর্ভজাত সন্তান গৌড়ীয় বৈদিক হইতেছেন ?? রাঢ়ীয় ঠাকুরগণের সহিত গৌড়ীয় বৈদিকগণের যৌন সম্বন্ধে আদান প্ৰদান পূর্বকালে চলিতেছিল। ইহাতে তাহাই প্ৰতীয়মান হয়। ভবদেবের পদ্ধতি অনুসাবেই গৌড়ীয় বৈদিক ব্ৰাহ্মণগণ র্তাহাদের দশ সংস্কারের কাৰ্য্য সম্পাদনা করিতেছেন, ইহাও অন্যতম প্ৰমাণ । ভবদেবকে রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণ প্ৰতিপন্ন করিয়া নিজেদের প্রাচীনত্ব ও আভিজাত্য প্রমাণ করিবার জন্য নগেন্দ্র বাবু বঙ্গের সামন্তরাজ জয়ন্তকে আদিশূর। এবং রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণগণের আগমনের কাল ৭৫৫ খ্ৰীঃ অব্দ বলিয়া স্থির করিবার জন্য নানা প্ৰকার স্বকপোল-কষ্টকল্পিত তর্কজালের অবতারণা করিয়াছেন। কিন্তু রাঢ়ীয় ঠাকুরগণের বংশতালিকা তাহার এই সমস্ত বৃথা চেষ্টার প্রতিকুল প্ৰমাণ হইয়া রহিয়াছে। রাঢ়দেশের সিদ্ধল গ্রামে বাস করিলেই শ্রোত্রীয় ব্ৰাহ্মণ রাঢ়ী হয় না । এইরূপে সংক্ষিপ্তসার ব্যাকরণের টীকাকার মদীয় পূৰ্ব্বপুরুষ গোয়ীচন্দ্ৰকে বিদ্যানিধি মহাশয় রাঢ়ী বলিয়া কাড়িয়া লইতেছেন । সম্বন্ধনির্ণয়-প্ৰণেতা বিদ্যানিধি মহাশয় তাহার মূল পুস্তকের ক্রোড়পত্রে আদিশূরের আবির্ভাব কাল তথা কনৌজ ব্ৰাহ্মণ পঞ্চকের আগমনকাল সম্বন্ধে পরস্পর বিরোধী সিদ্ধান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন তাহা যে সমীচীন নহে পূৰ্বেই বলিয়াছি। , এক্ষণে প্ৰাচ্যবিদ্যামহার্ণব নগেন্দ্র বাবুর ন্যায় তিনি ও ভবদেব ভট্টকে সাবর্ণ গোত্রীয় রাঢ়ী শ্রেণী প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য তথাকথিত কুলাচাৰ্য্য কুলচন্দ্ৰ ঘটক সংগৃহীত মহাবংশাবলী উদ্ধত করির