পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छन्नंठिं न्थिंT · · · , o86 বৈদিক ও ব্যারেক্স ব্রাহ্মণ রাষ্ট্ৰীয় ও উৎকল ব্রাহ্মণদিগকে বিভ্রাপ করিয়া বলেন যে,-- “উৎকল ভূতকলশ্চৈব, রাঢ়ী হাড়ী তথৈব চ” vats. The Uriya Brahmins are the engines of ghosts. and Rarhi Brahmins areffaris or sweepers. Its cars किंत्रদস্তী এই ষে কৈবৰ্ত্ত জাতির পুরোহিত ছিল না । বল্লালসেন কৈবৰ্ত্তের পুরোহিত সৃষ্টি করিয়া দিয়াছেন। এই সকল অসাৱ কিম্বদন্তীর মূল অনুসন্ধান করিলে হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্ৰীকাতরতা ব্যতীত আর কিছুই নাই। বাঙ্গাল মনুষ্য বটে, উড়িয়া জন্তু নহে, উৎকল ব্ৰাহ্মণ ভূতকাল নহেন, রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণ হাড়ী নহেন, বিশুদ্ধ কৈবৰ্ত্ত বা মাহিষ্যষাজী ব্ৰাহ্মণ বল্লাল-স্থষ্ট পতিত বা অব্রাহ্মণ নহেন। বিরুদ্ধবাদিগণ আপনাদের অকাৰ্য্যকে মন্দাচক্ষে দৃষ্টি না করিয়া পূর্ববর্তী, মাহিষ্যযজাকে ঘূণার চক্ষে দেখিয়া থাকেন । এরূপ ভ্ৰম-তিমির কত দিন থাকিবে ? শাস্ত্ররূপ রবিরশ্মি সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত হইয়া ভ্ৰমান্ধকার দূর করিয়া থাকে ; বেদ, স্মৃতি প্ৰভৃতি শাস্ত্ৰগ্ৰস্থানুসারে পূর্ববৰ্ত্তী মাহিষযাজী ব্ৰাহ্মণগণ পরবর্তী শূদ্রযাজীদিগের অপেক্ষা কত উচ্চ, জলন্ত অক্ষরে প্ৰকাশ পাইতেছে। পরবত্তীর্ণ শূদ্ৰযাজী ব্ৰাহ্মণগণ এরূপ কোন অমোঘ যুক্তি দেখাইতে পারেন না, যাহার বলে পূৰ্ববৰ্ত্তী মাহিষ্য কৈবৰ্ত্তযাজী ব্ৰাহ্মণগণ তাহাদিগের অপেক্ষা ঘুণিত হইতে পারেন । গোপাল ভাড়ের মত শাস্ত্ৰজ্ঞ বিচক্ষণ পুরুষগণ একটী উদ্ভট গল্প বলিয়া থাকেন যে, ব্যাসদেব প্ৰাতঃকালে একজন জালিয়ার গলায় জালের সুতা দেখিয়া ব্ৰাহ্মণ ভ্ৰমে নমস্কার করিলেন । ধীবর পুত্ৰ কঁাপিতে কঁাপিতে আত্মপরিচয় দিয়া পদতলে লুটাইয়া পড়িল। ব্যাস কহিলেন, ‘ভ্ৰমক্রমে যাহা কহিয়াছি, তাহ। সত্য হইবে।” তদবধি ধীবরের পুত্ৰ ব্ৰাহ্মণ হইল। এই ব্যক্তি কৈবৰ্ত্ত কুলের পুরোহিত। অতএব বেদে, পুরাণে এ গল্পের মূল নাই, আর ইহা è o