পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

etu विद्धि-छि । পাওনা তাহা ভট্টাচাৰ্য্যের নিকট দিব্য-ইতি সন ১২৬৪ সােল বাঙ্গলা ও সন ১২৬৫ সাল ফসলী তাঃ-২৯শে ভাদ্র ? পাঠক মহাশয় ! “ব্যাস” আখ্যার গরিমা কি বুঝিলেন ? “ব্যাস” ব্ৰাহ্মণ যে ব্যাসের জ্ঞাতি নহে, লুলো পঞ্চানন তাহা স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন সত্য, কিন্তু ‘ব্যাস” আখ্যার যথার্থ শাস্ত্রার্থ গোপন করিয়াছেন। ‘ব্যাস” ব্ৰাহ্মণ যে কল্পিত অপব্ৰাহ্মণ নহেন, তাহা পণ্ডিত লালমোহন বিদ্যানিধি মহাশয় তঁাহার সম্বন্ধনির্ণয়ের পরিশিষ্টে স্বীকার করিয়াও মাহিষ্যগণের পুরোধাগণকে বৰ্ণবিপ্রের শ্রেণীভুক্ত করিয়াছেন । কিন্তু উক্ত বিদ্যানিধি মহাশয় বহু বিতণ্ডার পর কৃষিকৈবৰ্ত্তকে ‘সচ্ছদ্র অনুপনীত মাহিষ্য’ স্বীকার করিয়াছেন এবং তঁাহারা “আদিশূরের বহুপূর্বেও ভূম্যধিকারী’ বলিয়া লিখিয়াছেন। আদিশূরের পূর্বে, যে মাহিষ্যগণ বঙ্গদেশের একমাত্র আশাভরসার স্থল ছিলেন, যাহারা তপোবীজ-প্ৰভাবে বৈজিক শক্তিতে প্ৰবল হইয়া বঙ্গদেশে শাসনদণ্ড পরিচালনা করিয়া গিয়াছেন, তাহারা বঙ্গদেশের ‘‘ভূম্যধিকারী” ছিলেন, কি “রাজরাজেশ্বর” ছিলেন, তাহা পাঠকগণ পরে দেখিতে পাইবেন । কালপ্ৰভাবে সেন বংশের আধিপত্য জুলবিম্বের ন্যায় অদৃশ্য হইলে মুসলমান নবাব ও বাদশাগণের আমলেও বঙ্গদেশের ভূম্যধিকারিগণ কিরূপ প্ৰবল প্ৰতাপ-সম্পন্ন ছিলেন, তাহা ইতিহাসভজ্ঞ ব্যক্তি বিশেষ অবগত আছেন। আদিশূরের বহুকাল পরে বল্লালের আমলে, অথবা শিশির বাবুর মতে বহুদিন পরে, শ্রোত্রীয় ব্ৰাহ্মণগণই কলু বাগদী তীয়র ধীবরাদি জাতির দান গ্ৰহণ করিয়া পতিত বর্ণবিপ্ৰ হুইয়াছেন। বিদ্যানিধি মহাশয় আদিশূরের বহুপূর্বে কৃষি-কৈবৰ্ত্ত জাতির অস্তিত্ব এবং তঁহাদের আভিজাত্য স্বীকার করিয়া তাহাদিগকে বিশুদ্ধ “অনুপনীত মাহিষ্য” ও “ভূমূধিকারী” বলিয়া পরিচিত করিয়াছেন । যাজ্য জাতির পবিত্রতা ঘোষণা করিয়া যাজক পুরোধাগণের