পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦૨ अgि-दिछन्न ! থাকিস্ত না । তদুত্তরে একটু সবিস্তারে আলোচনা করিতে হইবে। কথা এই যে স্মৃতি ও পুরাণে যে দ্রব্যের যে যে পরিভাষা করা হইয়াছে, সেই সেই পরিভাষা আভিধানিক শব্দ দ্বারা সার্টিফিকেটযুক্ত হওয়া আবশ্যক। কিনা ? সংক্ষেপত: বলিতে গেলে, শব্দের শক্তিগ্ৰহ কিরূপে হইয়া থাকে তাহা বুঝিতে পারিলেই বিরুদ্ধবাদিগণ নিজেদের ভ্রম বুঝিতে পরিবেন । শব্দ, উপমান, কোষ, ও আপ্তবাক্য ব্যবহার দ্বারা স্বতন্ত্রভাৰে শব্দের শক্তিগ্ৰহ হইয়া থাকে, এতন্মতে কোষ ও ব্যবহার সর্বাপেক্ষা প্রবল। কোষ ও প্রধানতঃ ব্যবহারের উপর স্থাপিত। শ্রুতি, স্মৃতি পুরাণ, ইতিহাস্যাদিতে যে শব্দ যাহার। পৰ্য্যায়রপে পরিভাষিত হইয়াছে, তাহা ব্যবহারে সর্বত্র অনুমোদিত না হইলে কোষে গৃহীত হয় না । ব্যাকরণের কৃৎ তদ্ধিতাদি সঙ্কেত দ্বারা কোন শব্দের কোন অর্থ নির্দিষ্ট হইলেও ব্যবহার তাহা ভালরূপে পোষণ না করিলে কোষকার তাহ সেই অর্থে গ্ৰহণ করেন না বটে, কিন্তু আগুপ্তবাক্যরূপেই তাহ প্ৰমাণ হয় । স্মৃতির বিচারে ব্যবহার হইতে শাস্ত্র বলবৎ ; কিন্তু কোষকারের চক্ষুতে ব্যবহারই বলবৎ । অধিকাংশ লোক যে শব্দে যে অর্থ বুঝে, তাহাকেই সেই শব্দের মুখ্যার্থ বা প্ৰধান অর্থ বলিয়া ধরিয়া লয়। অধিকাংশ লোকেই অজ্ঞান ; কাজেই বলিতে হইবে যে, অজ্ঞাবহুল লোকের গৃহীত অর্থই সেই সেই শব্দের মুখ্যার্থ সাধারণে প্রচারিত। অহং শব্দে অজ্ঞগণ চেতনাযুক্ত দোজকে বুঝে, উহাই অহৎ শব্দের মুখ্যার্থ। किङ्9 °ा७िङ%ा० বুদ্ধিস্থ কূট চৈতন্যকে অহং শব্দে বুঝিয়া থাকেন। জ্ঞানী পণ্ডিতগণের ংখ্যা অতি অল্প, এজন্য পণ্ডিতগণের গৃহীত অর্থটী ঐ শব্দের গৌণ অর্থ। কোষকারশ্ৰেষ্ঠ অমর সিংহ পদ্মপুরাণ ও ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণোক্ত ক্ষত্ৰিয় ঔরসে বৈশ্য ( অৰ্য্যা ) গৰ্ত্তাজাত কৈবৰ্ত্ত জাতিকে আৰ্য্যজাতি বুঝিয়েষ্ট “মাহিষ্য অৰ্য্যা ক্ষত্ৰিগ্নয়ো” বলিয়া লিখিয়াছেন। অমর সিংহের পূর্ববৰ্ত্তী শ্ৰীহরি মিশ্র সুপ্ৰসিদ্ধ পাণিণী ব্যাকরণের টীকাতেও লিখিয়াছেন,- “