পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্য্যত্বের দাবি। SSS) আৰ্য্য এবং সদব্ৰাহ্মণের যাজ্য। দ্বিজাতি বা দ্বিজধৰ্ম্ম জাতির পুরোহিত ব্ৰাহ্মণ কখনই পতিত হইতে পারেন না । যিজন যাজন ইত্যাদি ব্ৰাহ্মণের বৃত্তি আশ্রয় করিয়া যাজ্যজাতির ষাজন করা ব্ৰাহ্মণের ধৰ্ম্ম । , আৰ্য্যত্ব লইয়া বৰ্ত্তমান হিন্দু সমাজের আর অভিমান করা চলে न ! আৰ্য্যগণ বহু প্ৰাচীন কাল হইতে যে রূপে অনাৰ্য্য জাতির সহিত শোণিতসংস্রবে। সম্বন্ধযুক্ত হইয়া গিয়াছেন, তাহাতে বোধ হয়, ভারতীয় শ্ৰেষ্ঠ ব্ৰাহ্মণ সম্প্রদায়ের ও ধমনীতে পবিত্ৰ আৰ্য্য শোণিতের অস্তিত্ব আছে কি না সন্দেহ। মুনিশ্রেষ্ঠ জরৎকারু যে দিন অনাৰ্য্যরাজ বাসুকির ভগিনী জরৎকারুর পাণিগ্রহণ করিয়াছেন, দাশরাজকন্যার গর্ভে যে দিন আৰ্য্যশ্রেষ্ঠ পরাশর ঋষির ঔবসে ব্ৰাহ্মণকুল-গৌরৰ ব্যাসদেবের আবির্ভাব হইয়াছে সেইদিন-শুধু সেইদিন কেন ? তাহারও পূর্ব-হইতে আমাৰ্য্য অনাৰ্য্য শোণিত সংস্রব ঘটিয়াছে। এইরূপ বহু প্ৰমাণ আমাদের হিন্দুশাস্ত্ৰ হইতে উদ্ধত করিয়া দেখান যাইতে পারে। এই সমস্ত যদিও বহু প্ৰাচীন কালের কথা, কিন্তু তাহার পর বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের প্রবল বন্যায় যে দিন ভারতবর্ষ নিমজ্জিত হইয়া গিয়াছিল, সে দিন কি আৰ্য্য অনাৰ্য নিশিয়া এক হইয়া যায় নাই ? ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য সেবার পতিত হিন্দুজাতিকে রক্ষা করিয়াছেন-আৰ্য্য অনাৰ্য্যের শোণিত সংস্রব বন্ধ করিয়া অধঃপতিত হিন্দুজাতিকে আৰ্য্যত্বের কুলে টানিয়া আনিছেন, কিন্তু তাহাতেও অন্ধ সমাজেব চৈতন্য হয় নাই। কিয়াৎকাল পরে আবার আৰ্য্যাভিমানী প্ৰবল বঙ্গভূপাল বল্লাল সেনের সময়ে কৌলিন্য প্রথার বিষে হিন্দুজাতির পবিত্ৰ ব্ৰাহ্মণ সমাজকে জর্জরিত করিবার সূচনা হয়। “বহু বিবাহ” রূপ মহানিষ্টকর কু-প্রথার দাবাগ্নিতে রাষ্ট্ৰীয় ঠাকুর সমাজের আর্য্যত্ব পুড়িয়া ছাই হইয়া যাইতে থাকে ! ! বহু বিবাঢ়ের ফলে আৰ্য শোণিতের বিশুদ্ধতা কিরূপে রক্ষা পাইয়াছে তাহ সমাজ তত্বজ্ঞগণ অবগত আছেন । রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণ সমাজের ৩৬ মেলের জঘন্য