পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* चgि-दिम মহাযুদ্ধাবসানে নিবীর গৌড়সাম্রাজ্যে সেন-রাজগণ অতি সহজে আধিপত্য বিস্তার করিতে সুযোগ লাভ করিয়াছিলেন। “সেখ শুভোদয়” গ্রন্থে । তাহার বিবরণ আছে। বারেন্দ্ৰগণের কুলপঞ্জিকাতে লিখিত হইয়াছে যে, ভট্টনারায়ণাদি পঞ্চমহর্ষি অযাজ্য আদিশূরের যজ্ঞ সম্পন্ন করিয়া দেশে প্ৰত্যাগমন করিলে দেশস্থ ব্ৰাহ্মণগণ তাহাদিগকে সমাজচু্যত করিয়া দেশ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিলেন । তঁহারাও গৌড়দেশে আদিশূরের নিকট প্ৰত্যাগমন করিয়া দুঃখের কথা অবগত করাইয়া রাঢ় দেশেই বসতি স্থাপন করিয়াছিলেন । পরে ভট্টনারায়ণাদি কালকবলে পতিত হইলে কান্যকুব্জস্থিত পূৰ্ব্ব পক্ষীয় পুত্ৰগণ পিতার শ্ৰাদ্ধ কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া দেশস্থ ব্ৰাহ্মণগণকে নিমন্ত্রণ করিলে ব্ৰাহ্মণগণ নিমন্ত্রণ রক্ষা না করিয়া পুত্ৰগণকে ও সমাজচ্যুত করিয়া দেশ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিলেন। তঁহারাও গৌড়দেশে আদিশূবের নিকট আসিয়া রাঢ় দেশে বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতৃগণের নিকট না থাকিয়া বরেন্দ্র দেশে বসতিস্থাপন করিলেন। (স্থানান্তরে বারেন্দ্ৰ কুলপঞ্জিকা উদ্ধত হইল। ) আদিশূর রাঢ়দেশে প্রথমতঃ যজ্ঞকাৰ্য্যের জন্য ক্যান্যকুব্জ হইতে সভূত্য ব্ৰাহ্মণপঞ্চকে আনমন করেন। তাহার পর বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণগণের পূর্বপুরুষগণ গৌড়ে আসেন এবং সেনরাজ বল্লাল সেনের সময় রাঢ়ী বরেন্দ্ৰ শ্রেণী বিভাগ করা হয় । অতএব তৎপূৰ্ববৰ্ত্তী রামপালের পুত্ৰ মদন পালের সভাসদ সন্ধ্যাকর নন্দী বারে মুদ্র শ্রেণীর ব্ৰাহ্মণ কিরূপে হইবেন ? রামচরিত কাব্যের শেষভাগে “কবিপ্ৰশস্তি” নাম দিয়া চারিটিী ঙ্গোকের রচনাকৌশলে কবি স্বল্পাক্ষরে আপনার পরিচয় প্ৰদান করিয়াছেন :- বসুধাশিরোবরেন্দ্রীমণ্ডলচূড়ামণিঃ কুলস্থানং। শ্ৰীপৌণ্ড বৰ্দ্ধনপুরপ্রতিবন্ধঃ পুণ্যভূঃ বৃহদ্বটুঃ ৷ ১ ৷৷