পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৭৮

, ཆཟླt " নারায়ণ পালোয় পুত্র রাজ্যপালও শান্তিপ্রিয় ছিলেন। দিনাজপুর জেলায় বাণনগয়ে প্রাপ্ত তাম্রশাসনে লিখিত হইয়াছে, রাজ্যপাল “জলধিমূল-গভীরগৰ্ত্ত” জলাশয়ে এবং ‘কুলপৰ্ব্বত তুল্য কক্ষবিশিষ্ট দেৰালয়” নিৰ্ম্মাণ করিয়া কীৰ্ত্তিলাভ করিয়াছিলেন। রাজ্যপালের পুত্ৰ ২য় গোপাল পিতার পরলোক গমনের পর, সিংহাসনে আরোহণ করিয়া “চিরতরে” “অবনীর একমাত্ৰ ভৰ্ত্তা” ছিলেন বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে ( গৌড়রাজমালা ৩৪ পৃঃ )। ২য় গোপালের পুত্র ২য় বিগ্ৰহ পাল গৌড়সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই ২য় বিগ্ৰহপাল হইতে র্তাহার পুত্ৰ শ্ৰীমহীপাল দেব জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ইনিই আনুমানিক ৯৮০ খ্ৰীঃ অব্দে পিতৃ সিংহাসনে আরূঢ় হইয়া “অনধিকারী” কর্তৃক বিলুপ্ত পিতৃরাজ্যের উদ্ধার সাধন কবিয়া ভুপালগণের মস্তকে চরণপদ্ম স্থাপন করিয়াছিলেন। লামাতারানাথ লিখিয়া গিয়াছেন যে, মহীপাল ৫২ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন। মাদ্রনাথের শিললিপি হইতে জানা যায় যে, গৌড়াধিপ মহীপাল ১০৮৩ সম্বতে ( ১০২৬ খ্ৰীঃ অব্দে ) জীবিত ছিলেন। মহীপালদেব যখন গৌড়ের সিংহাসন অলঙ্কত করিয়া পুণ্যতীর্থ কাশীপৰ্য্যন্ত রাজদণ্ড চালনা করিতে ছিলেন, তখন গজনীর মামুদ কান্তকুজের দ্বারে সাহি জয়পালকে যুদ্ধে আহবান করিয়াছিলেন। উক্ত কান্যকুব্জাধিপতি, পুত্র আনন্দপাল, পৌত্র ত্ৰিলোচন পাল, মামুদের গতিরোধ করিতে গিয়া নিহত হইয়াছিলেন। মামুদ রাজ্য অধিকার করিতে আইসেন নাই ; তিনি হিন্দুধৰ্ম্মের লোপসাধন কামনায় উদ্বুদ্ধ হইয়া থানেশ্বর, মথুরা, কান্তকুজ, গোয়ালিয়র, কালেঞ্জর, সোমনাথ প্রভৃতি স্থানের দেবমন্দির লুণ্ঠন ওবিগ্ৰহ পদদলিত করিয়াছিলেন; কিন্তু পুণ্যধাম কাশীধামের দিকে অগ্রসর হইতে সাহসী হন নাই। মহীপালের সুব্যবস্থায় বারাণসী সুরক্ষিত ছিল বলিয়াই মামুদের হস্ত হইতে নিচুক্তি লাভ করিয়াছিল। ‘কাম্বোজাম্বিয়জ' গৌড়পতির কবল হইতে বরেজী উদ্ধার করিয়া গৌড়াধিপ মহীপালদেব অশোকের ন্যাঙ্ক যুদ্ধবিগ্ৰহ