পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO মঙ্গলচণ্ডীর গীত সরস্বতী মুক্তির উল্লেখ করিয়াছেন। তাঁহার মতে সিংহ-বাহনী সরস্বতী বৌদ্ধ মুক্তি। আমরা মঙ্গলচণ্ডীর ন্যায় অন্য কয়েকটি মিশ্র দেবী-মুত্তি তন্ত্র ও মুক্তি-শিল্প হইতে দেখাইলাম। আমাদের মতে মঙ্গলচণ্ডীর মধ্যে সরস্বতী, মহিষ-মদিনী চণ্ডী, লক্ষ্মী ও উমার সমন্বয় ঘাঁটিয়াছিল। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশে প্রচলিত লক্ষ্মীসরস্বতী-কাত্তিক-গণেশ-সমন্বিত মহিষ-মদিনী দুর্গ-প্রতিমার কথা স্বভাবতঃই মনে পড়ে। এই প্ৰতিমাতেও আমরা উপরি-উক্ত চারিজন দেবীর সমাবেশ দেখিতে পাই। মহিষ-মদিনী চণ্ডী মুক্তিই দুর্গ-প্রতিমার প্রধান অঙ্গ। পূজাতেও অষ্টশক্তিসহ * মহিষ-মদিনীকেই আবাহন করিয়া প্রধানত: তাঁহারই অৰ্চনা করা হয়। দুর্গাপূজায় লক্ষ্মী-সরস্বতী-বাত্তিক-গণেশ প্রভৃতি দেবীর ‘সাঙ্গোপাঙ্গ’ । এক দিকে লক্ষ্মী-সরস্বতীকে মহিষ-মদিনী প্ৰতিমার সহিত যুক্ত করিয়া উগ্র ও শান্ত মুক্তির সমাবেশ করা হইয়াছে এবং অন্য দিকে কাত্তিক ও গণেশকে প্রতিমায় স্থান দিয়া মহিষ-মদিনী চণ্ডীর সহিত মাতৃ-মুক্তি উমার সমীকরণ করা হইয়াছে। সুতরাং দেখা যাইতেছে, দুর্গ-প্রতিমায় উগ্ৰমূত্তি মহিষ-মদিনীই প্রধান দেবতা, তাহার সহিত লক্ষ্মী, সরস্বতী ও উমার পরিকলপনা যুক্ত করিয়া এক সৰ্ব্বৈশ্বৰ্য্যময়ী, সৰ্ব্বগুণময়ী, মাতৃ-মুক্তি গঠিত হইয়াছে। মঙ্গলচণ্ডী ও দুর্গার ন্যায় মিশ্ৰ সাতৃ-মুক্তি। শান্ত-স্মৃত্তি বাগৃদেবীর সহিত উগ্রমুক্তি মহিষ-মদিনী এবং শান্ত-মুক্তি লক্ষ্মী ও উমার রূপ-গুণ মিশাইয়া মঙ্গলচণ্ডীর পরিপূর্ণ রূপ প্ৰস্তুত হইয়াছিল। চণ্ডীমঙ্গলের দেবী এইরূপ মিশ্র-মুক্তি বলিয়াই তাঁহাকে পৌরাণিক মাতৃ-মুক্তি বলিয়া চিনিতে বিলম্ব হয়। দুগা-cult-এর ন্যায় মঙ্গলচণ্ডী-cultiও এক সময়ে এদেশে প্রচলিত ছিল। এই দেবীর পূজা লৌকিক ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম মাত্র, এই মতবাদ সমৰ্থন করা যায় না । তাহার কারণ বাঙালীর পৌরাণিক ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্মসম্বন্ধে যাহার কথার উপর আর কথা চলে না, সেই রঘুনন্দন স্বয়ং তাঁহার “ কৃত্যতত্ত্বে ” মঙ্গলচণ্ডীর পূজাবিধি বিস্তৃতভাবে বণ না করিয়া লিখিয়াছেন, SS S rBS SBBDDBDDB S DDBDDBBDBDD DDDDBBBBS SyBD পরিপূজয়েৎ ৷৷ ” ৭ ১ উগ্ৰচণ্ডী প্রচণ্ডী চ চণ্ডেগ্রি চণ্ডনায়িকা। চণ্ডা চণ্ডাবতী চৈব চামুণ্ড চণ্ডিকা তথা । আভিঃ শক্তিভিরষ্টাভি: সততং পরিবেষ্টিতম্। চিন্তয়েৎ সততং দেবীং ধৰ্ম্মার্থ-কাম-মোক্ষদাষ। কালিকাপুরাণ, পঞ্চানন তর্করত্ন-সম্পাদিত ৫৯ ; ২২ । ই অষ্টাবিংশতি তত্ব, পূঃ ৬৩৯ ৷৷