পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8O মঙ্গলচণ্ডীর গীত অধিকাংশ ক্ষেত্ৰে শবদান্ত -এ ছন্দের প্রয়োজনে পৃথকৃ এক মাত্রায় উচচাৰ্য্য। যেমন : “ দোলায়ে চড়িয়া বীর করিল গমন,’ ‘ ফুলব্রায়ে বোলে প্ৰভু যাহ কথাকারে," ইত্যাদি। এই সকল স্থলে উচচারণে এবং লিপিকরণে য়-কারের আগম যুক্তিযুক্ত। অবশ্য কোনও কোনও স্থলে শবদান্ত -এ ছন্দের প্রয়োজনে পূর্ববৰ্ত্তী স্বরধ্বনির সহিত এক মাত্রায় উচচারিত হইবে। BBD DBBDDBD DBDD D DD DD S 떤 -2 এখন আলোচ্য গ্রন্থের ভাষা-সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলা আবশ্যক। অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে (১৭৫৯ খ্রী:) লিপিবদ্ধ একখানি পুথি প্রধান অবলম্বন’ স্বরূপ গ্ৰহণ করিয়া এই গ্রস্থ সম্পাদিত হইয়াছে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ ভারতচন্দ্র-রামপ্রসাদের যুগ। তখন বাংলা ভাষা আধুনিক যুগে পদার্পণের উদূযোগ করিতেছে। সেই সময়কার পুথিতে প্ৰাচীন ভাষার লক্ষণ কতদূর পাওয়া যাইবে, সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহ ছিল। কিন্তু পুথিটি পাঠ করিয়া ইহার প্রাচীনগন্ধি ভাষায় আমরা বিস্মিত হই। পুথিখানি যে অপর একটি প্রাচীন পুথির অবিকল নকল, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। এবং পুথির অক্ষর যেরূপ পুরাতন আদর্শের, তাহাতে মনে হয় পুথিটি কোনও বৃদ্ধ-কর্তৃক লিপিবদ্ধ হইয়াছিল। দ্বিজ মাধবের গীতের সমস্ত পুথিই পূর্ববঙ্গ হইতে সংগৃহীত। সেজন্য ইহার ভাষায় কোনও কোনও স্থলে পূর্ববঙ্গীয় বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। কিন্তু কতকগুলি ক্ষেত্রে পূর্ববঙ্গের রীতি ইহাকে প্রভাবিত করিতে পারে নাই। যেমন : মহাপ্ৰাণ ধবনির লোপ পূর্ববঙ্গের উচচারণের একটি বৈশিষ্ট্য, কিন্তু আলোচ্য গ্রন্থের ভাষায় অধিকাংশ স্থলে মহাপ্ৰাণধবনির লোপ হয় নাই। ইহাতে আদি-বাংলার সর্বনাম “ অ্যান্ধি,” “ তুমি ', পরবর্তী মহাপ্ৰাণ-বজিত ‘ আমি,’ ‘মুই * প্ৰভৃতি অপেক্ষা অধিক না হইলেও, প্রচুর সংখ্যায় ব্যবহৃত হইয়াছে। এবং যথেক, এথ, তভো, সভো (সবে), সৈথে<সহিতে, প্রভৃতি শব্দে নূতন করিয়া মহাপ্ৰাণযুক্ত হইতে দেখা যায়। তাহা ছাড়া, পূর্ববঙ্গের উচচারণ অনুযায়ী অনুনাসিকের লোপ-প্রবণতা সত্বেও (বাঁশ, পাঁচ) বন্দো, মাগো, প্রভৃতি শব্দে অনুনাসিক লুপ্ত হয় নাই। এমন কি, খঞিয়া, গোসাঞি, নাঞি, প্রভূতি শবেদ পশ্চিমবঙ্গের छ55ांब्रक्ष-श्लउ नांगिक-थोऊि७ १ों७मा गांशउछ।