পাতা:মণিপুরের সেনাপতি (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সেনাপতি।
১০৭

হইতে কেবল সৈন্য-সকল মণিপুর-অভিমুখে ছুটিতে লাগিল; গুলি-বারুদ লইয়া অসংখ্য শকট সকল রওনা হইল; নানাস্থানের, নানাপ্রকারের, নানা শ্রেণীর সৈন্যগণকে বহন করিয়া অসংখ্য স্পেসাল ট্রেণ যাতায়াত করিতে লাগিল। ভলেণ্টিয়ারগণও পরিশেষে বন্দুক হস্তে মণিপুর-যুদ্ধে যোগদান করিবার প্রত্যাশায় সেই স্থানে দলে দলে গমন করিতে লাগিলেন। ব্যাণ্ড সকল যেন রণবাদ্যে উন্মত্ত হইয়া, সৈন্যদলের অগ্রে অগ্রে গমন করিতে লাগিল। জেনারেল

 গ্রেহেম সাহেব চতুরঙ্গ সৈন্যে সুশোভিত হইয়া মণিপুর-যাত্রা করিলেন। সেই স্থানে গমনপূর্বক তিনি প্রথমেই ঘোষণা করিলেন যে, মণিপুর রাজবিদ্রোহী হইয়া দাঁড়াইয়াছে। মহারাণীর বিপক্ষে মণিপুর যুদ্ধ-ঘোষণা করিয়াছে—মহারাণীর প্রধান প্রধান কর্ম্মচারিগণকে বিনা দোষে মণিপুর হত্যা করিয়াছে। সুতরাং তিনি আজ তাহার প্রতিবিধান করিতে আগমন করিয়াছেন।

 গ্রেহেম সাহেব যেরূপ দর্পের সহিত ও যেরূপ সৈন্যের সহিত মণিপুরের ভিতর প্রবেশ করিলেন, তাহাতে তাহার গতিরোধ করিতে কে সমর্থ হইবে? তাহার সম্মুখীন হইতে কে সাহস করিবে? কিন্তু টিকেন্দ্রজিৎ একেবারে আত্মসমর্পণ করিলেন না। তিনি যতক্ষণ পারিলেন, সম্মুখ যুদ্ধে ততক্ষণ দণ্ডায়মান রহিলেন। যুদ্ধও যে নিতান্ত কম হইল, তাহা নহে; উভয় পক্ষেরই ক্ষতি হইতে লাগিল। কিন্তু মণিপুর বিশেষ ক্ষতি সহ্য করিলেন। পরিশেষে ইংরাজ-সৈন্য মণিপুরের কেল্লা দখল করিয়া লইল। ভীষণ তোপের সম্মুখে রাজবাড়ি অভগ্ন অবস্থায় থাকিতে পারিল