পাতা:মণিপুরের সেনাপতি (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
দারােগার দপ্তর, ১৩৭ সংখ্যা।

বিনা অস্ত্রে সেই স্থান পরিত্যাগ করিলেন। কুলেন্দ্র সিংহ ও আনুসিংহ সেই সময় সেই স্থানেই ছিলেন। তাঁহারা পলটনের সাহায্য পাইবার প্রত্যাশা না করিয়াই, আপনাদিগের সাহসের উপর নিভর-পূর্ব্বক টিকেন্দ্রকে ধরিবার নিমিত্ত অগ্রসর হইলেন; এবং হঠাৎ পশ্চাৎ হইতে গমন-পূর্ব্বক তাঁহাকে ধরিয়া ফেলিলেন। টিকেন্দ্র পলাইবার নিমিত্ত বিশেষ চেষ্টা আর করিলেন না। তবে ধরিবার সময় ধৃতকারিদ্বয় ও টিকেন্দ্রের সহিত একটু সামান্ত ধস্তা-ধস্তী মাত্র হইয়াছিল; এবং তিনজনেই জড়াজড়ি করিয়া সেই স্থানেই মৃত্তিকার উপর পতিত হইয়াছিলেন। পরিবার সময় টিকেন্দ্র যদি আপনার প্রকৃত বল প্রকাশ করিতেন, তাহা হইলে তাহাকে ধৃত করা নিতান্ত সহজ হইত না। কিন্তু, কি জানি কি ভাবিয়া, টিকে বিশেষ বল প্রকাশ না করিয়াই আত্মসমর্পণ করিলেন।

 টিকেন্দ্রজিৎ ২৫শে জুন তারিখে ধৃত হইলেন। তাঁহার ধৃত সংবাদ শ্রবণে সেই স্থানের ইংরাজ ও ইংরাজ-কর্ম্মচারিগণের মধ্যে মহা আনন্দ-স্রোত প্রবাহিত হইল। টিকেন্দ্র বন্দীভাবে কারাগারে প্রেরিত হইলেন; তাঁহার বিচারের দিন স্থির হইল।

 ১ জুন তারিখে টিকেন্দ্রের বিচার আরম্ভ হইল। লেপ্টেনাণ্ট কর্ণেল জন ফারকোট মিচেল, মেজর আর, কে, রিগওয়ে এবং: নাগা-হিলের ডেপুটী কমিসনর এ, ডলিউ, ডেভিস এই তিনজন কর্মচারির হস্তে তাঁহার বিচারভার অর্পিত হইল। এক এক করিয়া অনেক সাক্ষ্যের সাক্ষ্য গৃহীত হইতে লাগিল, ও এইরূপে ক্রমান্বয়ে ১৩ দিবস বিচারের পর মহারাণীর বিপক্ষে যুদ্ধ-ঘোষণা করা এবং ইংরাজ কর্ম্মচারিগণের হত্যায় সহায়তা করা প্রভৃতি