পাতা:মতিয়া বিবি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
দারোগার দপ্তর, ১৩৩ সংখ্যা

চেষ্টা আমাদিগকে করিতেই হইবে। সুতরাং এই মোকর্দ্দমার কিনারা হইবার কোনরূপ আশা না থাকিলেও, ঐ অনুসন্ধানে বাধ্য হইয়া আমাদিগকে নিযুক্ত হইতে হইল।

 মৃতদেহ সেই লোহার সিন্দুক হইতে বাহির করিলাম। পচিয়া নিতান্ত বিকৃতভাব ধারণ করিলেও, পরীক্ষার নিমিত্ত উহা ডাক্তারখানায় প্রেরিত হইল। আমরা উপরি উপরি যতদূর দেখিলাম, তাহাতে ঐ মৃতদেহের উপর কোনরূপ অস্ত্রাঘাতের বা অপর কোনরূপ চিহ্ণ বা জখম দেখিতে পাইলাম না। পূর্ব্বে শুনিয়াছিলাম, তারামণির কিছু অর্থাদি অলঙ্কার পত্র আছে, তদ্ব্যতীত কিছু কিছু বন্ধকী কারবারও করিয়া থাকে। কিন্তু লোহার সিন্দুকের ভিতর তাহার কোনরূপ চিহ্ণ দেখিতে পাইলাম না। এক তারামণির মৃতদেহ ও তাহার পরিহিত একখানি বস্ত্র ভিন্ন লোহার সিন্দুকের মধ্যে আর কিছুই ছিল না।

 যাহার ঘরে লোহার সিন্দুক আছে, তাহার মূল্যবান দ্রব্যাদি সে সেই লোহার সিন্দুকের ভিতরই রাখিয়া থাকে। আর মূল্যবান দ্রব্যাদি ঘরে না থাকিলেও যে লোহার সিন্দুকের ভিতর কিছুই থাকে না, তাহাও একেবারে অসম্ভব। সুতরাং তারামণির লোহার সিন্দুকের অবস্থা দেখিয়া স্বভাবতই আমাদিগের মনে করিতে হইল যে, উহার ভিতর যাহা ছিল, তাহার সমস্তই দস্যুগণ অপহরণ করিয়া লইয়া গিয়াছে, না হয়, স্থানান্তরে রাখিয়া দিয়াছে; নতুবা লোহার সিন্দুকের ভিতর কোনরূপ দ্রব্যের চিহ্ণমাত্রও নাই কেন? মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া ঐ ঘরের ভিতর অপরাপর যে সকল সিন্দুক বাক্স ছিল, তাহাও খুলিয়া দেখিতে ইচ্ছা করিলাম। অপর চাবির