পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । সমগ্র জগতের উপর তোমার শক্তি বিস্তৃত হয়, যদি তুমি জগতের প্রত্যেক পরমাণুকে বশীভুত করিতে পাের, তাহা হইলেই বা কি হইবে ? তাহাতে তুমি সুখী হইবে না, যদি না তোমার নিজের ভিতর সুখী হইবার শক্তি থাকে, আর যত দিন না তুমি আপনাকে জয় করিতেছ। ইহা সত্য যে, মানুষ প্ৰকৃতিকে জয় করিবার জন্যই জন্মিয়াছে ; কিন্তু পাশ্চাত্য জাতি। “প্ৰকৃতি’ শব্দে কেবল জড় বা বাহু প্রকৃতিই বুঝিয়া থাকে। ইহা সত্য যে, নদী-শৈলমালাসাগর-সমন্বিত অসংখ্য শক্তি ও নানা ভাবময়ী বাহ প্ৰকৃতি অতি মহৎ । কিন্তু উহা হইতেও মহত্তর মানবের অন্তঃপ্রকৃতি রহিয়াছে-উহা সূৰ্য্যচন্দ্ৰতারকারাজি হইতে, আমাদের এই পৃথিবী হইতে, সমগ্র জড়জগৎ হইতে শ্ৰেষ্ঠতর—আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবন হইতে অনন্তগুণে শ্ৰেষ্ঠ আর উহা আমাদের গবেষণার অন্যতম ক্ষেত্ৰ । পাশ্চাত্য জাতি যেমন বহির্জগতের গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্বলাভ করিয়াছে, এই অন্তস্তত্ত্বের গবেষণায় তদ্ররূপ প্ৰাচ্য জাতি শ্ৰেষ্ঠত্ব লাভ করিয়াছে। অতএব যখনই আধ্যাত্মিক সামঞ্জস্যের প্রয়োজন হয়, তখনই উহা ফে প্রাচ্য হইতে হইয়া থাকে, ইহা ন্যায্যই । আবার যখন প্ৰাচ্যজাতি যন্ত্রনিৰ্ম্মাণ শিক্ষা করিতে ইচ্ছা করে, তখন তাহাকে যে G