পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । শাস্ত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে লিখিত আছে, তাহারা সেই সকল বিধি-নিষেধের সামান্য খুঁটিনাটি পৰ্য্যন্ত বাজদূঢ়ভাবে ধরিয়া থাকে। তাহারা বরং উপবাস করিয়া থাকিবে, তথাপি তাহাদের স্বজাতির ক্ষুদ্র অবান্তর বিভাগের বহির্ভূত কোন ব্যক্তির হাতে খাইবে না । এইরূপ সঙ্কীর্ণ হইলেও তােহাদের ঐকান্তিকতা ও প্রবল নিষ্ঠা আছে। নিষ্ঠাবান হিন্দুদের ভিতর অনেক সময় এইরূপ প্ৰবল বিশ্বাস ও ধৰ্ম্মভাব দেখা যায়, কারণ, তাহাদের এই দৃঢ় ধারণা আছে যে, উহা সত্য, আর তাহা হইতেই তাঁহাদের নিষ্ঠ উৎপন্ন হইয়া থাকে । তাহারা এরূপ অধ্যবসায়ের সহিত যাহাতে লাগিয়া থাকে, আমরা সকলে উহাকে ঠিক বলিয়া মনে না করিতে পারি, কিন্তু তাহদের মতে উহা সত্য। আমাদের শাস্ত্ৰে লিখিত আছে, দয়া ও দানশীলতার চূড়ান্ত সীমায় যাওয়া কৰ্ত্তব্য । যদি কোন ব্যক্তি অপরকে সাহায্য করিতে, সেই ব্যক্তির জীবন রক্ষা করিতে গিয়া নিজে অনশনে দেহত্যাগ করে, শাস্ত্র বলেন, উহা অন্যায় নহে; বরং উহা করাই মানুষের কৰ্ত্তব্য । বিশেষতঃ ব্ৰাহ্মণের পক্ষে নিজেয় মৃত্যুর ভয় না। রাখিয়া সম্পূর্ণভাবে দানব্ৰতের অনুষ্ঠান করা কীৰ্ত্তব্য। র্যাহারা ভারতীয় সাহিত্যের সহিত সুপরিচিত, তঁাহারা এইরূপ চূড়ান্ত দানশীলতার দৃষ্টান্তস্বরূপ እ›b”