পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । ভাবটী ভারতীয় ধৰ্ম্মসমূহের বিশেষত্ব। ভারতে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে এমন কোন গ্ৰন্থ নাই, যাহাতে এই ভাব নাই। মানুষকে ঈশ্বর সাক্ষাৎ করিতে হইবে, তঁহাকে প্ৰত্যক্ষ অনুভব করিতে হইবে, তঁহাকে দেখিতে হইবে, তঁহার সহিত কথা কহিতে হইবে। ইহাই ধৰ্ম্ম । অনেক সাধুপুরুষের ঈশ্বর-দৰ্শন-কাহিনী ভারতের সর্বত্ৰ শুনিতে পাওয়া যায়। এইরূপ মতবাদসমূহই তেঁহাদের ধৰ্ম্মের ভিত্তি। আর প্ৰাচীন শাস্ত্ৰগ্ৰস্থাদি এইরূপ আধ্যাত্মিক তত্ত্বসমূহের সাক্ষাৎ দ্রষ্টা ব্যক্তিগণের লিখিত। বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতির জন্য ঐ গ্রন্থগুলি লিখিত হয় নাই, কোনরূপ যুক্তি দ্বারাই উহাদিগকে বুঝিবার উপায় নাই। কারণ, তাহারা নিজেরা কতকগুলি বিষয় দেখিয়া তবে তাহা লিখিয়া গিয়াছেন, আর যাহারা আপনাদিগকে ঐ রূপ উচ্চভাবাপন্ন করিয়াছে, তাহারাই কেবল ঐ সকল তত্ত্ব বুঝিতে পরিবে। তাঁহারা বলেন, ইহজীবনেই এরূপ প্ৰত্যক্ষানুভূতি সম্ভব, আর সকলেরই ইহা হইতে পারে। মানবের এই শক্তি খুলিয়া গেলেই ধৰ্ম্ম আরম্ভ হয়। সকল ধৰ্ম্মেরই ইহাই সার কথা, আর এই জন্যই আমরা দেখিতে পাই, একজনের খুব ভাল বক্তৃতা দিবার শক্তি আছে, তাহার যুক্তিসমূহ অকাট্য, আর সে খুব উচ্চ উচ্চ ভাব প্রচার করিতেছে ;