পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেৰ । করিয়া ভঁাহাকে বলিলেন, “আমার আপনাকে জোর করিয়া ংসারী করিবার ইচ্ছা নাই, আমি কেবল আপনার নিকট খাকিয়া আপনার সেবা করিতে ও আপনার নিকট সাধন ভজন শিখিতে চাই।” তিনি তঁহার একজন প্ৰধান অনুগত শিস্যা হইলেন—ৰ্তাহাকে ঈশ্বরজ্ঞানে ভক্তি-পূজা করিতে লাগিলেন। এইরূপে তঁহার স্ত্রীর অনুমতি পাইয়া ভঁাহার শেষ বাধা অপসারিত হইল-তখন তিনি স্বাধীন হইয়া নিজ রুচি অনুযায়ী মাগে বিচরণ করিতে সক্ষম হইলেন। যাহা হউক, ইনি এইরূপে সাংসারিক বন্ধনমুক্ত হইলেন-এতদিনে তিনি সাধনায়ও অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছিলেন । এক্ষণে প্ৰথমেই র্তাহার হৃদয়ে এই আকাঙক্ষণ জাগ্রত হইল যে, কিরূপে তিনি সম্পূর্ণরূপে অভিমানবিবর্জিত হইবেন, আমি ব্ৰাহ্মণ, ও ব্যক্তি শূদ্ৰ বলিয়া নিজের যে জাত্যভিমান আছে, কিরূপে উহা সমূলে উৎপাটিত করিবেন, কিরূপে তিনি অতি হীনতম জাতির সঙ্গে পৰ্যন্ত আপনার সমত্ব বোধ করিবেন। আমাদের দেশে যে জাতিভেদ প্ৰথা আছে, তাহাতে বিভিন্ন মানবের মধ্যে যে পদমৰ্য্যাদায় ভেদ, অহা স্থির ও চিরনির্দিষ্ট হইয়া রহিয়াছে। যে ব্যক্তি যে বংশে বা যে জাতিতে জন্মগ্রহণ করে, এইরূপ * জন্মবশেই সে V