পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব ? আছি। দুঃখের বিষয়, কেহই তাহা কাৰ্য্যে পরিণত করিতে প্ৰস্তুত নহে, কারণ, আমাদের মত অপর সকলেই উপদেশ দিতে প্ৰস্তুত । তঁহার কিন্তু সে ভাব ছিল না, তিনি কাহাকেও ডাকিতে যাইতেন না। তঁহার এই মূলমন্ত্র ছিল-প্ৰথমে চরিত্র গঠন কর, প্ৰথমে আধ্যাত্মিক ভাব উপাৰ্জন কর, ফল আপনি আসিবে। তঁহার প্ৰিয় দৃষ্টান্ত এই ছিল—“যখন কমল প্ৰস্ফুটিত হয়, তখন ভ্ৰমরগণ আপনােপনিই মধু খুজিতে আসিয়া থাকে। এইরূপে যখন তোমার হৃৎপদ্ম ফুটিবে, তখন শত শত লোক তোমার নিকট শিক্ষা লইতে আসিবে।” এইটি জীবনের এক মহা শিক্ষা । মদীয় আচাৰ্য্যদেব আমাকে শত শত বার ইহা শিখাইয়াছেন, তথাপি আমি প্রায়ই ইহা ভুলিয়া যাই। খুব কম লোকেই চিন্তার অদ্ভুত শক্তি বুঝিতে পারে। যদি কোন ব্যক্তি গুহায় বসিয়া উহার দ্বার অবরুদ্ধ করিয়া দিয়া যথার্থ একটি মাত্ৰও মহৎ চিন্তা করিয়া মরিতে পারে, সেই চিন্তা সেই গুহার প্রাচীর ভেদ করিয়া সমগ্ৰ আকাশে বিচরণ করিবে, পরিশেষে সমগ্ৰ মানবজাতির হৃদয়ে ঐ ভাব সংক্রামিত হইবে। চিন্তার এইরূপ অদ্ভুত শক্তি। ণ অতএব তোমার ভাব অপরকে দিবার জন্য ব্যস্ত হইও না। প্রথমে দিবার মত কিছু সঞ্চয় কর । তিনিই প্ৰকৃত শিক্ষা দিতে পারেন, 8\)