পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । না হয় কৰ্ম্মপ্রবণ হইয়া থাকে। বিভিন্ন ধৰ্ম্মসমূহে এই বিভিন্ন ভাবসমূহের কোন না কোনটির প্রাধান্য দৃষ্ট হয়। তথাপি এক ব্যক্তিতে এই চারিটী ভাবের বিকাশই সম্ভব এবং ভবিষ্যৎ মানব ইহা করিতে সমর্থ হইবে । ইহাই তঁহার ধারণা ছিল । তিনি কাহারও দোষ দেখিতেন না, সকলের মধ্যে ভালই দেখিতেন। একদিন আমার বেশ স্মরণ আছে, কোন ব্যক্তি ভারতীয় কোন সম্প্রদায়ের নিন্দা করিতেছেন- এই সম্প্রদায়ের আচার অনুষ্ঠানাদি নীতিবিগহিত বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে। তিনি কিন্তু তাহাদেরও নিন্দা করিতে প্ৰস্তুত নহেন-তিনি স্থিরভাবে কেবলমাত্র বলিলেন-কেউ বা সদর দরজা দিয়া বাড়ীতে ঢোকে, কেউ বা আবার পাইখানার দোর দিয়ে ঢুকতে পারে । এইরূপে ইহাদের মধ্যেও ভাল লোক থাকিতে পারে । আমাদের কাহাকেও নিন্দ করা উচিত নয় । তঁহার দৃষ্টি কুসংস্কারশূন্য নিৰ্ম্মল হইয়া গিয়াছিল। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ভাব, তাহদের ভিতরের কথাটা তিনি সহজেই ধরিতে পারিতেন । তিনি নিজ অন্তরের মধ্যে এই সকল বিভিন্ন ভাব একত্ৰ করিয়ু সামঞ্জস্য করিতে পারিতেন। সহস্ৰ সহস্ৰ ব্যক্তি এই অপূৰ্ধ মানুষকে দেখিতে, 8G