পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । হইবে।--আর এই স্বাৰ্থত্যাগের দ্বারা জগৎকে উদ্ধার কর । জীবনের আশা বিসৰ্জন দিয়া তাহারা সমগ্ৰ মানবজাতির সেবক হউক।---সমগ্র মানবজাতির নিকট ধৰ্ম্ম প্রচার করুক। ইহাকেই ত ত্যাগ বলে—শুধু বচনে ইহা হয় না । উঠিয়া দাড়াও ও লাগিয়া যাও । তোমাদিগকে দেখিবামাত্ৰ সংসারী লোকের মনে-কাঞ্চনাসক্ত ব্যক্তির মনে ভয়ের সঞ্চার হইবে । বচনে কখন কোন কাব্য হয়। না—কত কত প্রচার হইয়াছে—কোন ফল হয় নাই। প্ৰতি মুহূৰ্ত্তেই অর্থাপিপাসায় রাশি রাশি গ্ৰন্থ প্ৰকাশিত হইতেছে, কিন্তু তাহাতে কোন উপকার হয় না, কারণ, উহাদের পশ্চাতে কেবল ভুয়া । ঐ সকল গ্রন্থের ভিতর কোন শক্তি নাই । এস, প্ৰত্যক্ষ উপলব্ধি করা। যদি কামকাঞ্চন ত্যাগ করিতে পার, তোমার বাকাব্যয় করিতে হইবে না, তোমার হৃৎপদ্ম প্ৰস্ফুটিত হইবে, তোমার ভাব চারিদিকে বিস্তৃত হইবে। যে ব্যক্তি তোমার নিকট আসিবে, তাহারই ভিতর তোমার ধৰ্ম্মভাব গিয়া লাগিবে। আধুনিক জগতের সমক্ষে শ্ৰীরামকৃষ্ণের ঘোষণা এই-- “মতামত, সম্প্রদায়, চার্চ বা মন্দিরের অপেক্ষা করিও না । প্রত্যেক মানুষের ভিতরে যে সারবস্তু রহিয়াছে অর্থাৎ ধৰ্ম্ম, তাঙ্গার সহিত তুলনায় উহারা তুচ্ছ; আর যতই এই ভাব W