পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । আবার-আধ্যাত্মিক রাজ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হইয়া উঠিয়াছে। বৰ্ত্তমান কালে দেখিতেছি, জড়ভাবসমূহই অত্যুচ্চ গৌরব ও শক্তির অধিকারী ; বৰ্ত্তমান কালে দেখিতেছি, লোকে ক্রমাগত জাড়ের উপর নির্ভর করিতে করিতে তাহার ব্ৰহ্মভােব ভুলিয়া গিয়া অর্থেপাৰ্জক যন্ত্রবিশেষ হইয়া যাইতে বসিয়াছে-এখন আর একবার সমন্বয়ের প্রয়োজন হইয়া পড়িয়াছে। আর সেই শক্তি আসিতেছে--সেই বাণী উচ্চারিত হইয়াছে, যাহা এই ক্ৰমবৰ্দ্ধমান জড়বাদরূপ মেঘকে অপসারিত করিয়া দিবে। সেই শক্তির খেলা আরম্ভ হইয়াছে, যাহা অনতিবিলম্বেই মানবজাতিকে তাহদের প্রকৃত স্বরূপের কথা স্মরণ করাইয়া দিবে। আর এশিয়া হইতেই এই শক্তি চারিদিকে বিস্তৃত হইতে আরম্ভ হইবে। সমুদয় জগৎ শ্রমবিভাগের প্ৰণালীতে বিভক্ত। একজনই যে সমুদ্ৰয়ের অধিকারী হইবে, একথা বলা বৃথা । এইরূপ কোন জাতিবিশেষই যে সমগ্ৰ বিষয়ের অধিকারী হইবে, এরূপ ভাবা আরও ভুল। কিন্তু তথাপি আমরা কি ছেলেমানুষ ! শিশু অজ্ঞানবশতঃ ভাবিয়া থাকে যে, সমগ্র জগতে তাহার পুতুলের মত লোভের জিনিষ আর কিছুই নাই। এইরূপই যে জাতি জড়িশক্তিতে বড়, সে ভাবে-উহাই একমাত্র