পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লঘুক্রিয়া

হেন্‌রীর ইচ্ছা ভ্রাতুষ্পৌত্ত্রও তাঁহার মত ব্যবসা কার্য্য এই সময় হইতেই শিক্ষা করে। এই ঊষ্ণস্বভাব যুবা তাহার খুল্লপিতামহের কম স্নেহের পাত্র ছিল না, তথাপি চার্লসের বিশ্বাস, দাদা অ্যালিসকে তাহাপেক্ষাও অধিকতর ভাল বাসেন। একথা সে প্রকাশ্যে ও অনেকবার বলিয়াছে এবং তাহা শুনিয়া তাহার দাদা একটু স্নেহের হাসি হাসিয়াছেন মাত্র, প্রতিবাদ করেন নাই। আজ ভাইয়ের কাছে ধমক খাইয়া অভিমানিনী অ্যালিস, সক্রোধে অর্দ্ধভুক্ত বিস্কুটখানা পাত্র-সমেত সশব্দে ঠেলিয়া দিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল। তাহার চোখে জল আসিয়া পড়িয়াছিল। হেনরী ব্যস্ত হইয়া তাহার হাত ধরিয়া ফেলিলেন ও বলিলেন, “যাস কোথা লিসা? বোস্ বোস্! চার্লি, তুমি ওকে অমন করে ব’লো না, আহা ছেলে মানুষ, অল্পেই মনে আঘাত পায়। আচ্ছা লিসা, তোর ফ্যানী সেখানে কত মাইনে পায় বলতো রে?” অ্যালিস অভীষ্ট সিদ্ধির সুযোগ বুঝিয়া আসন গ্রহণ করিয়া হৃষ্টচিত্তে বলিল “বড় কম পায় দাদা—বড় কম। প্রত্যহ তিন ঘণ্টা পরিশ্রম ক’রে, মাসে কুড়ি টাকা পায়,

১৩৫