পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লঘুক্রিয়া

 ফ্যানীর নূতন চাকরী প্রাপ্তির পর ছয় মাস হইয়া গিয়াছে। ফ্যানী ও অ্যালিসের বন্ধুত্ব ক্রমেই গাঢ় হইতে গাঢ়তর হইতেছিল। অ্যালিস তাহার কাছে শেলাই এর বিশেষ কিছু উন্নতি করিতে পারে নাই। যেহেতু তাহাতে তাহার মনই ছিল না। সেলাইয়ের কলটা ফ্যানীরই কাজে লাগিল। অ্যালিস বলিল, “সেলাই আর ভাল লাগে না দাদা, তার চেয়ে আঁক্‌তে শেখা ভাল।” তৎক্ষণাৎ অঙ্কন দ্রব্য সকল আসিয়া পৌঁছিল, কিন্তু কাজ বড় অগ্রসর হইতে দেখা গেল না। ফ্যানীই ছবি আঁকিত! সে শুধু বসিয়া বসিয়া রং, তুলি, পেন সিল তাহার হাতের কাছে যোগাইয়া দিত এবং একখানি ছবি সমাপ্ত হইলে তাহার মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করিত। চিত্রবিদ্যা এমনি করিয়া শিক্ষা হইলে, নূতন সখ হইল, বেহালা শিখিতে হইবে। গীতবাদ্যে একটু দখল থাকাতে অ্যালিসের অন্য সকল বিদ্যাপেক্ষা এই বিদ্যাটায় একটু উন্নতি হইল। কিন্তু এই ব্যাপারে এই-

১৩৯