এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধুমল্লী
মুক্তা। (বিস্মিত হইয়া তাহার মুখে তাহার দুই চোখ স্থির করিল) ধ’রে রাখবে না।
নন্দ। না, যদি তুমি আমাদের ছেড়ে গিয়েই সুখী হও, যাও, কেন বাধা দেব?
মুক্তা। (স্বপ্নবিষ্টভাবে) ওই উত্তাল তরঙ্গমালার উন্মাদ তাণ্ডব শুধু তোমরা দেখতে পাও, গান নাচ ওর নীচে, ওর নীচে কি সুন্দর, কি সুখের রাজ্য আছে। সেখানে আমার গৃহ, তুমি তাদের গান শোননি ত! কি আশ্চর্য্য সে গান, তার সুরে জগতের সমুদয় ফুল ফুটে ওঠে, পাখী গায়, শিশু হাসে!
নন্দ। না, আমি তোমার গান শুনেছি। কিন্তু গানের চেয়ে কি মানুষ সত্য নয়? তাই তুমি আসবার পর থেকে—(নন্দ চুপ করিল)
মুক্তা। (উৎসুকে) পর থেকে—
নন্দ। তোমার অধিষ্ঠানই আমার সঙ্গীত হয়ে গিয়েছিল (তাহার হাত ধরিল)
মুক্তা। আমার কণ্ঠ তার চিরাভ্যস্ত গান ভুলে গেছে। কিন্তু হয়ত দুদিন পরে আবার মনে পড়বে। তখন আর সব ভুলে যাব।
১৭৬