পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eassists b শ্ৰীমান নরেন্দ্র তখন আমাকে ধৰ্ম্মশালায় রেখে রাত্রির আহারের ব্যবস্থা এবং পরদিন ভোরে মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখতে যাওয়ার যান-বাহনের বন্দোবস্তু 夺弧55可〔究研可旧 আমি একেলা ধৰ্ম্মশালার বারান্দায় দাড়িয়ে আছি ; এমন সময় সুমুখের পথ দিয়ে দুইটী বাঙ্গালী যুবক সাইকেলে চড়ে যাচ্ছিল। আমাকে ধৰ্ম্মশালার বারান্দায় দেখে তারা তাদের সাইকেলের গতিবেগ যে কম করল, তা বেশ বুঝতে পারলাম। দুইজনে যেন কি কথা হোলো। তার পরই তারা যে দিকে যাচ্ছিল, সে দিকে না গিয়ে, সাইকেল ফিরিয়ে ধৰ্ম্মশালার প্রাঙ্গণে প্ৰবেশ করল এবং সিড়ি দিয়ে উপরে এসে দুইজনেই আমাকে নমস্কার করল। যে যুবকটী বয়সে বড়, সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল “আপনার নাম কি জলধর বাবু?” আমি বললাম “ঐ নােমই আমার বটে।” তখন সে তার সঙ্গীর দিকে চেয়ে বলল “কেমন, আমি ঠিক ধরিনি।” আমি বললাম “আমি কিন্তু আপনাকে চিনতে পারছি নে।” যুবক হেসে ব’লল “আপনি আমাকে কি ক’রে চিনবেন ; আমি আপনাকে চিনি।” তার সঙ্গের যুবকটি তখন বলল “আপনি কৰে এখানে এসেছেন ?” আমি বললাম “এই আধা ঘণ্টা হোলো এসেছি। এখানে ত কাউকে চিনি না ; আর থাকাও এই রাতটা ; ক’ল সকালেই মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখে বোম্বাই মেলে ইন্দোরে যাব। আমার সঙ্গে একটী বন্ধু আছেন। তঁর নাম শ্ৰীনরেন্দ্ৰ দেব । তিনি সব ব্যবস্থা কৱবার জন্য এইমাত্র বেরিয়ে গেলেন।” ছোট ছেলেটি বলল “তা এখানে থাকবেন। কেন ? আমাদের বাড়ীতে চলুন।” আমি বললাম “সে আর হয় না, একটা রাত বৈ তা নয়,-“এখানেই কাটিয়ে দেব।” বড় যুবকটী বলল “আমার নাম শ্ৰীললিতমোহন ঘোষ। আমি নাগপুরে একাউনটেন্টজেনারেল অফিসে চাকরী করি। আমিও মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখবার জন্য