পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岑、 Ntę ছিল, এ কথা অনেক ঐতিহাসিক বলে থাকেন। যশোবন্তদেবের সময় মালব দেশের গৌরব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এ কথা শুনতে পাওয়া যায়। তারপরই এলেন প্ৰমার রাজপুতগণ। এই রাজবংশের মধ্যে খুব নামওয়ালা রাজা ছিলেন ভোজদেব। ধার নগরে এখনও ভোজ রাজার অনেক কীৰ্ত্তি বিদ্যমান এবং এই ভোজরাজার সম্বন্ধে অনেক কাহিনী এখনও শুনতে পাওয়া যায়। তারপরই এ-দেশে মুসলমানের আগমন। দিল্লীর বাদশা আলতামাস ভিলসা ও উজ্জয়িনী লুণ্ঠন করেন। বাদশা আলউদ্দীন এই প্রদেশ অধিকার করে একে একেবারে দিল্লী সাম্রাজ্যের একটা বড় রকম সুবা করে দেন ; এবং দিলাওয়ার খাঁ এই প্রদেশের সুবাদার হয়ে ১৪০১ খৃষ্টাব্দে দিল্লীর অধীনতা অস্বীকার করেন এবং নিজেই স্বাধীন নরপতি হয়ে বসেন ; এবং সেই থেকে ১৫৩৪ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত এ প্রদেশ স্বাধীনতা ভোগ করে। পরে ১৫৩৪ অব্দে গুজরাটের বাহাদুর শাহ এই দেশ দখল করেন। মোগল সম্রাট হুমায়ুন এসে বাহাদুর শাকে তাড়িয়ে দেন। শেষে হুমায়ুনকেও স্থির থাকতে দিলেন না শের শাহ। শের শাহ মালোয়া জয় করে একেবারে মাধুতে এসে পড়লেন এবং তঁার একজন প্রধান সেনাপতি সুজায়াত থাকে মাধুর সুবাদারী পদে অভিষিক্ত করে দিল্লী চ’লে গেলেন। হুমায়ুন পরে যখন পুনরায় দিল্লীর বাদশাহী পেলেন, তখন আর মাণ্ডুর দিকে দৃষ্টি করবার তার সময় হোলো না, রাজ্য পুনঃপ্ৰাপ্তির কিছুদিন পরেই তার দেহান্ত হয়। এদিকে সুজায়াত খাই মাণ্ডু রাজ্যের কৰ্ত্ত হয়ে বসেন, দিল্লীর অধীনতা অস্বীকার করেন। তঁহারই পুত্রের নাম ইতিহাস প্রসিদ্ধ বাজিদ। তিনি বাজ বাহাদুর নামেই পরিচিত। এই বাজ বাহাদুরের সময়ই মাণ্ডুর যথেষ্ট শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। কিন্তু, এ শ্ৰী বেশী দিন স্থায়ী হােলো না ; দিল্লীশ্বর আকবর বাজ বাহাদুরকে পরাজিত করে মাণ্ডু রাজ্য মোগল-সাম্রাজ্যভুক্ত করে দিলেন। তার পর