পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਕਭਵਣ ס כלa মোগল রাজ্য যখন পতনের দিকে গেল, সেই সময় গিরিধর বাহাদুর নামে একজন নাগর ব্রাহ্মণ কিছুদিন মাণ্ডুতে রাজত্ব করেন। তার হাত থেকে মারাঠারা এই রাজ্য কেড়ে নেন এবং এখন পৰ্য্যন্তও মাণ্ডু ধার-রাজ্যের অন্তর্গত হয়ে রয়েছে। মোট কথা এই যে, বাজ বাহাদুরের পরলোকগমনের পরই মাণ্ডু রাজ্যের ধ্বংস আরম্ভ হয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই মাধুর সমস্ত গরিমা ধ্বংস-স্তাপে পরিণত হয় ; বড় বড় অট্টালিকা, রাজপ্রাসাদ, মসজিদ ভেঙ্গে পড়তে থাকে, আর মানুষের স্থান পশুর দখল ক’রে বসেন। মাণ্ডু এমন জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়ে এবং সেখানে হিংস্র৷ জন্তুর এমন প্ৰাদুৰ্ভাব হয় যে, এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে প্ৰবেশ করতে কেহ সাহসী হ’তেন না। মাণ্ডুর অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় হ’তে থাকল ; সেখানে যারা বাস করত, তারা হিংস্ৰজন্তুর ভয়ে পালিয়ে গেল ; চারিদিক জঙ্গলে পূর্ণ হয়ে গেল ; এতকালের রাজধানীর বড় বড় প্ৰাসাদ সব ভেঙ্গে পড়তে লাগল। কারও দৃষ্টি সেদিকে পড়ল না ; মাণ্ডু রাজধানী মহাশ্মশানে পরিণত হ’য়ে গেল । শুভক্ষণে ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে ভারতের তদানীন্তন বড় লাট লর্ড নৰ্থব্রুকের দৃষ্টি মাধুর দিকে আকৃষ্ট হোলো ; বাজ বাহাদুর ও রূপমতীর व्ौव्लांट्रल দেখবার বাসনা তার জাগ্ৰত হোলো। তিনি মাণ্ডুতে গেলেন। বাইরে থেকে এই বিশাল ধ্বংসাবশেষ দেখে তিনি ব্যথিত হলেন। তঁর আদেশে ধার দরবার অন্ততঃ কিঞ্চিৎ রক্ষা করতে অগ্রসর হলেন, দরবার থেকে ত্ৰিশ হাজার টাকা খরচও করা হোলো ; কিন্তু জঙ্গল পরিষ্কার ও জীর্ণসংস্কার সামান্য মাত্রই অগ্রসর হোলো। তার পর আবার জঙ্গল বাড়তে লাগল, প্ৰাসাদ মসজিদ ভেঙ্গে পড়তে লাগল। মাণ্ডুর সংস্কার ও