পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

לסכל অর্থাৎ উপন্যাসের ঘটনা, এই কাহিনীতে তা যথেষ্ট পরিমাণে আছে। সে কাহিনী এই— ধরমপুরী নামে একটী ক্ষুদ্র গ্রামে থান সিং নামে একজন রাঠোর রাজপুত বাস করতেন। তিনি সম্পত্তিশালী না হ’লেও মধ্যবিত্ত সন্ত্রান্ত গৃহস্থ ছিলেন। তঁার একটী পরমাসুন্দরী কন্যা ছিল। কন্যাটীর আলোকসামান্য রূপ দেখে তার নাম রাখা হয়েছিল রূপমতী । , রূপমতীদের বাড়ীর কাছেই একটা অরণ্য ছিল। অনেকে সেই অরণ্যে শিকার করতে আমত। সেই অরণ্যের মধ্যে, রূপমতীদের বাড়ীর অনতিদূরেই, একটা ঝরণা ছিল। রূপমতী ও তার সঙ্গিনীরা অনেক সময় সেই ঝরণার তীরে বেড়াতে আসত। একদিন তারা যখন ঐ ঝরণার কাছে ব’সে আছে, তখন এক রাজপুত্র তার সঙ্গীদের নিয়ে সেই জঙ্গলে শিকার করতে এসে ঘটনাক্রমে সেই ঝরণার নিকট- উপস্থিত হয়েছিলেন। এই রাজপুত্র আর কেহই নন, মাণ্ডুর সুবাদার বাজ বাহাদুর। অরণ্যের মধ্যে এমন অতুলনীয়া সুন্দরী কিশোরীকে দেখে বাজ বাহাদুরের সঙ্গীরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যেতে উৎসুক হোলো। কিন্তু বাজ বাহাদুর তাদের নিষেধ করলেন। তিনি এই পরমাসুন্দরী কিশোরীর রূপ দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। । বাজ বাহাদুরও অতি রূপবান যুবক ছিলেন ; রূপমতীও তার দিকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে রইলেন। " বাজ বাহাদুর তখন ধীরে ধীরে রূপমতীর কাছে গিয়ে প্ৰেম-নিবেদন করলেন এবং আত্মপরিচয়ও দিলেন। কুমারী যদি সম্মত হয়, তা হ’লে তাকে মাণ্ডুতে নিয়ে গিয়ে পরম সমাদরে রাখবেন, এ কথাও বাজ বাহাদুর বললেন। রূপমতী তখন বলল “যদি আপনি ঐ পবিত্র রেওয়া নদীর