পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>2లి মাণ্ডু হ’লে আমি আপনার বিবাহ প্ৰস্তাবে সম্মত হ’তে পারি।” এই অসম্ভব প্ৰস্তাব শুনে বাজ বাহাদুর ক্ষণকাল নীরব হ’য়ে রইলেন ; তঁর উত্তর দিবার কোন কথাই মনে হােলো না। আর এমন অসম্ভব আবদার যে একটী পল্লীবাসিনী কিশোরী করবে, তা তিনি মনেও করেন নাই। তাকে । জোর করে রাজ-প্ৰসাদে নিয়ে যেতেও তঁর মত সদাশয় রাজার অভিপ্ৰায় হোলো না । তিনি তখন সসন্ত্রমে রূপমতীকে অভিবাদন ক’রে নিরাশ হৃদয়ে মাণ্ডুতে চ’লে গেলেন। বিধৰ্ম্মী বাজ বাহাদুর রাঠোর কুমারীর মুখ দেখতে পেয়েছে; সুধু দেখাই নয়, রূপমতী তার সঙ্গে কথা বলেছে, তাকে কঠিন সৰ্ত্তে বিবাহ করবে বলে কথা দিয়েছে, এ সংবাদ গোপন থাকুল না ; তার সঙ্গিনীরা গ্রামে গিয়ে কথাটা প্রচার করে দিল । রূপমতীর পিতা এমন অপমানকার ব্যাপার শুনে রাগে অধীর হয়ে পড়লেন। তখনই পঞ্চায়েত ডাকা হোলো। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত হোলো যে, রূপমতীকে সেই দিনই বিষপানে আত্মহত্যা ক’রে এই মহাপাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। সেদিন আবার গ্রামে বসন্তোৎসব ছিল । রূপমতীকে বিষদানে হত্যা করা হবে, এই কথা শুনে গ্রামের পুরোহিত তাড়াতাড়ি সেখানে উপস্থিত হ’লেন এবং রূপমতীর পিতা ও অন্যান্য সকলকে অনুরোধ করলেন যে, এই বসন্তোৎসবের দিনে গ্রামের সর্বাপেক্ষা সুন্দরীকে এমন ভাবে শাস্তি দিয়ে কােজ নেই। সেদিনের মত বিষদান বন্ধ থাকুক ; পরদিন রূপমতী বিষপানে প্ৰাণত্যাগ করবে। বৃদ্ধ পুরোহিতের আদেশ কেহই অমান্য করতে পারলেন i ; সেদিনের মত বিষদানের ব্যাপার বন্ধ থাকল। সেই রাত্রিতে রূপমতী স্বপ্ন দেখল, রেওয়া দেবী তার সম্মুখে আবিভূতি হ’য়ে তাকে বলছেন “তোর উপর আমার দয়া হয়েছে। তোর কথা রক্ষা কবেচি ।