পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ আছে। এ ছাড়া ছোটখাটো আরও অনেক প্রাসাদ আছে। তাদের কয়েকটীর নাম বলছি, যথা—সাতকুঠুরী, চােরকুঠুরী, এক থাম্বা, রেবা কুণ্ড, সাগর-তালাও, নীলকণ্ঠেশ্বর শিবের মন্দির, ইত্যাদি। চম্পা বাউড়ি মাটীর নীচের একটী প্রাসাদ ; উপর থেকে ছোট ছোট সিঁড়ি নীচে নেমে গিয়েছে। প্ৰথমে ত আমরা নামতে সাহস পেলাম না, যদি কোন হিংস্ৰ জন্তু সেখানে থাকে। সত্যচরণবাবু অভয় দিলেন, নীচের মহলে সে সব কিছু নেই ; লাট সাহেবের ভয়ে তঁরা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। তাই সাহস ক’রে নীচে গিয়ে দেখি প্ৰকাণ্ড চক-মিলানো প্রাসাদ ; দারুণ গ্রীষ্মের সময় বাদশারা এখানে আশ্রয় নিতেন। এই চক-মিলানো প্ৰাসাদের চত্বরে আবার একটা সরোবর আছে । সেকালে বোধ হয় জল যাতায়াতের পথ ছিল ; এখন আর তার সন্ধান পেলাম না ; জল একেবারে কৃষ্ণবর্ণ। আর একটা ছোট প্রাসাদ দেখলাম, তার নাম পূর্বেই উল্লেখ করেছি।-ধাই মহল। এই অট্টালিকাটি রাস্তা থেকে নীচে এবং একটু দূরে । এই ধাই মহলের একটা বিশেষত্ব আছে। রাস্তার উপর এক স্থানে একটা কাষ্ঠ-ফলক রয়েছে। তাতে লেখা আছে Echo point। এই স্থান থেকে ধাই-মহল পৰ্য্যন্ত সরলরেখা-পথের যেখানে ইচ্ছা সেখানে দাড়িয়ে কোন কথা বললে তখনই দ্বিগুণ উচ্চ স্বরে তার প্রতিধ্বনি হয়। এই সরলরেখা-পথ ছেড়ে বায়ে কি ডাইনে সামান্য দূরে দাড়িয়ে কথা বললেও তার আর প্রতিধ্বনি হয় না। আমরা এই প্ৰতিধ্বনি-রেখায় দাড়িয়ে যে কথা বললাম, তারই প্ৰতিধ্বনি শুনতে পেলাম। উপরে যতগুলি স্থানের নাম বললাম, সেগুলি দেখতে দেখতেই বেলা প্ৰায় একটা বেজে গেল ; এখনও কিন্তু রূপমতীর প্রাসাদ দেখা হয় নাই।