পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জনকলালপুল এখানে এসেছি। এদের বাড়ীতেই আজ সকালে এসে উঠেছি। কা’ল । মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখে, কা’লই কলিকাতায় যাব।” সঙ্গী ছেলেটীকে দেখিয়ে বলল “ইনি এখানকার স্কুলের শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত মণিমোহন চৌধুরীর ছেলে। এর নাম শ্ৰীঅবনীমোহন চৌধুরী।” অবনীমোহন বলল “আপনাদের কিছুতেই ছাড়িছিনে। বেশ, জিনিসপত্র এখানেই থাক ; ত্ৰিতে আমাদের বাসায় আহার করে এসে এখানে শুয়ে থাকবেন।” আমি ভাবলাম, যে রকম গতিক দেখছি, তাতে রান্ত্রিটা দোকানোয় পুৱী খেয়েই কাটাতে হবে, নরেন্দ্ৰ অন্য কোন উপায়ই করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে এমন নিমন্ত্রণ অস্বীকার করতে নেই। আমি বললাম “বেশ, তাই }বে। আপনারা একটু অপেক্ষা করুন, আমার সঙ্গী এখনই আসবেন। তিনি কি বলেন শোনা দরকার।” অবনী বলল “আর শোনামেলা নয়। আমি বাড়ী চললাম।” ললিতকে উদ্দেশ করে বলল “তুমি থাক, নরেন্দ্রবাবু এলে এদের নিয়ে আমাদের বাসায় যাবে। আমি আগে গিয়ে Iাবাকে খবর দিই।” এই ব’লে ছেলেটা ঘোই সিড়ির দিকে যাবে, সেই ময় নরেন্দ্র এসে উপস্থিত। এসেই তাড়াতাড়ি বললেন, “দাদা, ক’ল কালে মাৰ্ব্বল-পাহাড় আর নৰ্ম্মাদ প্রপাত দেখতে গেলে ফিরে এসে বোম্বাই-মেল ধরা যাবে না । তাই আমি টাঙ্গা নিয়ে এসেছি। এখনই যাতে হবে। টঙ্গাওয়ালা বলেছে, সে দেড় ঘণ্টায় ভেড়াঘাটে পৌছে দেবে। এখন তিনটে বেজেছে। সারে চারটায় পৌঁছিলে সূৰ্য্যাস্তের পূৰ্ব্বে খুব ঠাল দেখা যাবে। আর বিলম্ব নয়, ঘরে চাবিবন্ধ করি।” আমি লুলাম “তার পর রাত্রির 'আহার।” নরেন্দ্র বললেন “আজ বাজারের রী তরকারীই বিধাতা মাপিয়েছেন।” তার কথা শুনে ছেলে দুইটা হোসে উঠুল। আমি বললাম “আজ বিধাতা এখানকার মাষ্টার মশাই মণিমোচন চৗধুরীর বাড়ীতে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছেন।” অবনীকে দেখিয়ে বললাম