পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*3St委ーラ = سے 2ص পড়া গেল। একটু পরেই দেখা গেল, আমাদের সঙ্গী দুইজন 'বাস। থেকে একটা ঝুড়ি আর একটা হাড়ি নিয়ে এলেন। ঝুড়িতে কতকগুলি লুচি আর হাড়িতে তরকারী ছিল। সকলে মিলে তাই প্ৰসাদ পাওয়া গেল। বলা বাহুল্য, আমাদের যে রকম ক্ষুধার উদ্রেক হয়েছিল, তাতে ঐ রসদ পাঁচজনেরই ক্ষুন্নিবৃত্তি করতে পারে না ; তাতেই চোদ্দজন মানুষ কিঞ্চিৎ জলযোগ করে এবং একটু বিশ্রাম করে প্রায় চারটার সময় বেরিয়ে পড়া গেল। সত্যবাবু তখনও বলেন “আরে, আরও যে অনেক দেখতে বাকী রইলো।” রইলো ত রইলো মশাই । যেতে হবে যাট মাইল পথ । একটা কথা বলা হয় নাই ; আমাদের অগ্ৰগতি দলের দুই-একখানি বাসের সঙ্গে অনেক আগে একবার মাত্র দেখা হয়েছিল ; তার পরেই তঁরা ইন্দোরে চ’লে গিয়েছিলেন এবং অপরাহ দুইটার সময়ই ইন্দোরে পৌছেছিলেন। অনেকে সেই সন্ধ্যার গাড়ীতেই ইন্দোর ত্যাগ করেছিলেন ; আমাদের কেদার দাদাও সেই সঙ্গে ছিলেন। মাগুকে দণ্ডবৎ করে আমরা যখন যাত্রা করলাম তখন প্রায় চারটি। সন্ধ্যার একটু পূৰ্বেই ধারে পৌছিলাম। সত্যবাবু তখন ধ'রে বসলেন যে, ধারের দুর্গটা দেখতেই হবে। কি করা যায় ! দুর্গে যাওয়া গেল। বিশেষ দ্রষ্টব্য কিছুই নেই; অল্প কয়েকটা কামান বন্দুক আছে, আর কয়েকজন। শাস্ত্রী আছে। সেখান থেকে নেমে ডাক-বাংলায় এসে এক-একজন দুই তিন পেয়ালা চা পান করে একটু যেন সজীব হওয়া গেল। ধার থেকে যখন যাত্রা করা গেল, তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। সারথি বললেন, এই সাড়ে আটটার মধ্যে অর্থাৎ দেড় ঘণ্টায় তিনি এই চল্লিশ মাইল পথ অতিক্রম করবেন। ভাল কথা। মাইল পািনর এসেই ‘বাস আচল । নিকটে আশ্রয়-স্থান নেই, দুপাশে ধী, ধ। মাঠ। অনেক কষ্ট,