পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচ্ছদে ঢাকা ; কিন্তু বৃদ্ধ হিন্দু উকীলটির গায়ে লম্বা পাশী কোট ও পরনে গরম কাপড়ের ঢ়িলে জামা ছিল। তিনিও আমাদের মতো একমনে খবরের কাগজ প’ড়ছিলেন। মুসলমান যুবকটির সঙ্গেও খবরের কাগজ, ইংরাজি ম্যাগাজিন ও রেলওয়ে টাইম-টেবল ছিল ; কিন্তু, তিনি চুপ করে ব’সে একটির পর একটি সিগারেট অবিরাম টেনে যাচ্ছিলেন। যেন এ পৃথিবীর সঙ্গে তার কোনও সম্বন্ধ নেই এমনিই একটা ভাব। অল্পক্ষণ পরেই দেখি, বোম্বাইয়ের বৃদ্ধ উকীলটির সঙ্গে মুসলমান যুবকটি হঠাৎ আলাপ-পরিচয় করে নিয়ে খুব গল্প জুড়ে দিয়েছেন। কথাবার্তা তাদের ইংরাজীতেই হচ্ছিল। মুসলমান যুবকটি যুরোপ ঘুরে এসেছেন। এবং বিগত জাৰ্ম্মাণ যুদ্ধে তিনি ইংরাজপক্ষের সৈনিক হ’য়ে ফ্রান্সের সমরক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন, এই সব কথাই তিনি বৃদ্ধকে বলছিলেন। খানিক তাদের গল্প শুনতে শুনতে, খানিক বা খবরের কাগজ পড়তে । পড়তে এবং মাঝে মাঝে ইন্দোর রেলপথের দুধারে চমৎকার দৃশ্য দেখতে দেখতে শীতের অল্পায়ু দিন কখন যে বিদায়োম্মুখ হয়ে উঠেছিল। টের পাইনি । বেশ একটু ক্ষুধাবোধ হচ্ছিল। ঘড়ী খুলে দেখি তখনও পাঁচটা বাজেনি। সঙ্গে খাবার ছিল, কিন্তু সে রাত্রের জন্য রিজার্ভ ; কাজেই পরের ষ্টেশনে কিছু জলযোগের উপযোগী আহাৰ্য্য সংগ্ৰহ ক’রে নিতে হবে স্থির করলুম। বায়ওয়াহ ষ্টেশনে বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ চা খাওয়া স্ক'য়েছিল বটে, কিন্তু খাবার কিছু নেওয়া হয়নি। ট্রেণের “কোষ্ঠপত্র’ शुल দেখা গেল আগামী ষ্টেশন হ’চ্ছে “মোড়টাকা”। মনে পড়ে গেল যে, এষ্ট “মোড়টাক্কা’ ষ্টেশন থেকে আমাদের তিনটি বন্ধুর এই ট্ৰেণ ধরবার কথা । আছে। তঁদের মধ্যে গোরক্ষপুরের শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বি-এ ও দিবাকর মুখোপাধ্যায় এম-এ আমাদের সঙ্গে বোম্বাই পৰ্যন্ত যাবেন এবং bጋ”