পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যভাৱত 曲 O`Gp53 নাগপুরের ডাক্তার সতীশচন্দ্ৰ দাশ এম-বি ভুসাওয়াল থেকে নাগপুরে ফিরে যাবেন। খাণ্ডোয়া থেকে ভুসাওয়াল প্ৰায় ৭৪ মাইল। সতীশবাবুর অত্যন্ত ইচ্ছা ছিল আমাদের সঙ্গে বোম্বাই পৰ্য্যন্ত যাবার ; কিন্তু, নাগপুরের মেডিক্যাল ইস্কুলের হাসপাতালে যে তারিখ থেকে তার “ডিউটি” পড়বে, সেই তারিখের মধ্যে তিনি ফিরতে পারবেন না ব’লে যেতে श्रु' व् ब ।। বেলা চারটি পঞ্চাশ মিনিটের সময় আমাদের ট্ৰেণ মোড়টাক্কায় এসে দাড়ালো। দিবাকরবাবু, বঙ্কিমবাবু ও সতীশবাবু ষ্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। আমাদের দেখতে পেয়ে তঁরা উল্লাসে জয়ধ্বনি করে উঠলেন। আমরাও তাদের দেখতে পেয়ে আনন্দধ্বনি করে উঠলুম। ট্ৰেণ থেকে নেমে প’ড়ে তাদের গাড়ীতে তুলে নিলুম! তারা মহা উৎসাহে তঁাদের পূর্বদিনের এ্যাডভেঞ্চারের বিষয় গল্প ক’রতে লাগলেন। তাদের কথা শুনতে শুনতে গাড়ী ছাড়বার সময় হ’য়ে গেল। আমরা আমাদের কামরায় ফিরে এলুম। তঁরা ঠিক আমাদের পাশেই আর একখানি কামরায় উঠেছিলেন। আমাদের আসবার একদিন আগে তারা ইন্দোর থেকে বেরিয়ে মণ্ডলেশ্বর ও ওঙ্কারেশ্বর বেড়াতে এসেছিলেন । নিৰ্ম্মদ-বক্ষে পৰ্ব্বতের উপর ছিন্নমস্তার বিরাট মূৰ্ত্তি ও মণ্ডলেশ্বরে বিগ্রহ এবং রাণী অহল্যাবাঈয়ের রেবাঘাট ও আশ্রম ওখানকার প্রধান দ্রষ্টব্য স্থান বলে পরিগণিত । আমাদেরও ইচ্ছা ছিল এ যায়গাগুলি দেখে যাবো, কিন্তু মাণ্ডু-প্ৰত্যাগত দাদাকে পথশ্রান্ত দেখে অধ্যাপক শৈলেনবাবু ও ডাক্তার রুদ্রোিন্দ্ৰ পাল কিছুতেই তঁাকে ইন্দোর থেকে বেরুতে দেননি ; দু'দিন বিশ্রাম নেবার জন্য জোর করে ধ’রে রেখেছিলেন। অতএব আমাকেও তার সঙ্গে থাকতে হ’য়েছিল। এতক্ষণ হৈ-চৈয়ের মধ্যে কিছু মনে ছিল না, কিন্তু গাড়ী “মোড়টাক্কা'