পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSD ao gavss 22 ছাড়তেই জলখাবারের কথা স্মরণ হ’লো। খাবার কিনতে ভুল হ’য়ে গেল ব’লে আক্ষেপ ক’রছি শুনে জলধরদা’ বললেন “খাবার তা সঙ্গেই রয়েছে, বার করোনা, খাওয়া যাক। আমারও ক্ষুধা বোধ হ'চ্ছে।” আমি একটু কুষ্ঠিত হ’য়ে ব’ললুম-“ও যে তারা রাত্রে খাবার জন্য দিয়েছেন।” দাদা বললেন—“রাত্রের আর দেৱী কি ? তুমি খাবারটা পাড়ো, রাত্রিভোজ এই বেলা সেরে নেওয়া যাক ৷” আর দ্বিরুক্তি না ক’রে থাবার নিয়ে বসা গেল। সঙ্গে যে এত প্রচুর খাদ্য ছিল তা জানতুম না। লুচি, তরকারী, ভাজা, মাছ ও মিষ্টান্ন প্রভৃতি। এ মাছ সমুদ্রের। বোম্বে থেকে ইন্দোরে চালান আসে। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু, দামও অত্যন্ত বেশী। শৈলেনবাবুর মাতাঠাকুরাণী আমাদের দু’জনের জন্য এত অপৰ্য্যাপ্ত আহাৰ্য্য সামগ্ৰী দিয়েছিলেন যে, আমরা ভারপেট খেয়েও ফুরুতে পারছিলুম না। খাওয়ার পর ট্রেণের জানাল থেকে হাত বাড়িয়ে আমি যখন হাত ধুয়ে ফেলছি, সেই সময় আমার আঙ্গুল থেকে একটা আংটি কেমন করে খুলে গিয়ে রেল-লাইনের ধারে ছিটুকে পড়ে গেল ! ট্ৰেণ তখন ঘণ্টায় তিরিশ পয়ত্ৰিশ মাইল ছুটেচে! তাড়াতাড়ি জলধরদাদাকে ও সহ্যাত্রিদের ব্যাপারটা জানিয়ে ট্ৰেণ থামাবার জন্য ব্যস্ত হ’য়ে আমি গাড়ীর ‘এলাৱম, চেন’ ধরে টানতে ঘাচ্ছিলুম, বোম্বাইয়ের বৃদ্ধ উকীলটি আমাকে বাধা দিয়ে ব’ললেন—“এক মিনিট অপেক্ষা করুন। আপনার আংটির দাম কতো ? পঞ্চাশ টাকার বেশী কি ?” আমি বললুম—“বাজারে আংটির দাম পঞ্চাশের ঢের কম, কিন্তু আমার কাছে ওরা দাম অনেক ।” বৃদ্ধ উকীলটি মৃদু হেসে বললেন, “আংটিটি পড়ে যাওয়ায় সেন্টিমেন্টের