পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਕਥਭਵਣ ܘܡ “ইনিই মণিবাবুর ছেলে অবনীমোহন চৌধুরী।” নরেন্দ্র অবাক। আমি তঁাকে সব কথা বললাম ; বিধাতা যে আমাদের জন্য বিশেষ চিন্তিত ছিলেন এবং দুইটী জীবকে রাত্রির উপবাস থেকে রেহাই দিয়েছেন, সে কথাও বুঝিয়ে দিলাম। নরেন্দ্র বললেন “আমরা যে এখনই মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখতে যাব।” অবনী বলল “সে পথও আমাদের বাড়ীর সুমুখ দিয়ে। চলুন, বাড়ীটা দেখিয়ে দেব ; তারপর ফিরবার সময় আমাদের বাড়ীতে আহার করে এখানে এসে বিশ্রাম করবেন। ললিতবাবুও পাহাড় দেখতে এসেছেন ; উনিও আপনাদের সঙ্গে গিয়ে আজই দেখে আসুন না।” তাই ঠিক হোলো। আমি আর নরেন্দ্ৰ টঙ্গায় উঠলাম। অবনী সাইকেল ছুটিয়ে আগে চ’লে গেল ; ললিত আমাদের সঙ্গে সঙ্গে সাইকেল মাইল খানেক গিয়েই মণিবাবুর বাসা । তিনি রাস্তায় এসে ভ্যর্থনা করলেন ; চা পান করে বেরুতে বললেন। তা হোলে বিলম্ব হয়ে যাবে ব’লে আমরা আর অপেক্ষা করলাম না। মণিবাবু আমাকে বললেন “আমার একটু পরিচয় দেবার আছে। আমি বন্দীপুর স্কুলে আপনার ছোট ভাই শশধরবাবুর কাছে পড়েছি। সুতরাং আজ আমার গুরুসেবার সৌভাগ্য হােলো।” ভাল কথা! আর বিলম্ব না ক’রে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। টঙ্গাওয়ালা য বলেছিল, তাই করল। ঠিক সাড়ে চারটায় আমাদের গাড়ী ভেড়াঘাটে পৌঁছিল। পথের মধ্যে দুইটী দ্রষ্টব্য স্থানের উল্লেখ টঙ্গাওয়ালা করেছিলএকটি চৌষট্টি যোগিনী, আর একটী ইতিহাস-প্ৰসিদ্ধ রাণী দুৰ্গাবতীর মদন-মহল। কিন্তু, ঐ দুইটী তখন দেখতে গেলে আর মাৰ্ব্বল-পাহাড় সে দিন দেখা হয় না। তাই দূর থেকেই অভিবাদন করে আমাদের দর্শন বাসনা সংবরণ করতে হোলো । .